ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর ৫০ দিন পার হয়েছে। এ সময়ে ইসরায়েলি হামলায় ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি মারা গেছে, যার মধ্যে অর্ধেকের বেশি শিশু ও নারী। এরই মধ্যে গাজায় চার দিনের যুদ্ধবিরতির শেষ দিন অতিবাহিত হচ্ছে আজ। এ সময়ে নিজেদের বিধ্বস্ত বাড়ি-ঘরে ফিরছেন অনেক ফিলিস্তিনি।
সমঝোতা চুক্তি অনুসারে ১৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তির বদলে হামাসের কাছে জিম্মি ৫০ জনকে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে ইসরায়েল ৩৯ ফিলিস্তিনিকে এবং হামাস ১৭ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার মাধ্যমে বন্দিবিনিময় কর্মসূচিও পালিত হয়েছে।
এবার গাজাসহ ফিলিস্তিনের ওপর থেকে অবরোধ তুলে নেওয়া এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবিতে ব্রিটেন, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, কানাডা, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, সুইডেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দেড় মাসের বেশি সময় ধরে যুক্তরাজ্যের লন্ডনসহ বিভিন্ন শহরে ধারাবাহিক প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল চলছে।
গত ২৫ নভেম্বর, শনিবার লন্ডনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবিতে অংশ নেয় অন্তত তিন লাখ মানুষ। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া যুদ্ধবিরোধীকর্মী ক্যাট হুডসন বলেন, ‘গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য আমাদের সমর্থন প্রয়োজন। এখন একটা বিরতি চলছে, যা খুবই প্রশংসনীয়। তবে এই সমস্যার সমাধান করা দরকার, যেন ফিলিস্তিনিরা জাতিসংঘের নির্দেশনা অনুসারে রাজনৈতিক মীমাংসায় যেতে পেরে।’
অবশ্য এন্টি-সেমিটিজম ও ঘৃণ্যবাদ ছড়ানোর অভিযোগে গত এক মাসে ১২০ জনের বেশি বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ।
এদিকে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য কানাডায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে অংশ নেয় মুসলিম, খ্রিস্টান, ইহুদিসহ বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা। গত শনিবার কানাডার রাজধানী অটোয়ায় ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে স্লোগান দিয়ে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাতে থাকে বিক্ষোভকারীরা। তারা প্রায় তিন লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহের পাশাপাশি অনলাইন ভোট গ্রহণ করে সংসদ সদস্যদের কাছে পেশ করে এবং প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পক্ষে পদক্ষেপ নিতে বলেন।
গাজায় চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম বেড়েছে। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির তথ্য অনুসারে, গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবার রাফাহ ক্রসিং দিয়ে খাবারভর্তি ১৯৬টি ট্রাক প্রবেশ করেছে। তা ছাড়া গত ২১ অক্টোবর থেকে প্রায় এক হাজার ৭৫৯টি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে।
সূত্র : আলজাজিরা
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: