কারাগারের ভেতরে আদালত বসিয়ে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিচার বেআইনি ঘোষণা করেছিল ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। এবার তার বিচার প্রকাশ্যেই পরিচালনার নির্দেশ দিল আদালত।
রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁসের অভিযোগে আগামী ২৮ নভেম্বর ইমরান খানকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আদালত এ নির্দেশ দিয়েছে। এখন তা বাস্তায়নের অপেক্ষায় আছেন বলে স্যোশাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এক্সে (সাবেক টুইটার) জানিয়েছেন ইমরানের আইনজীবী নাঈম পানজুথা।
আগস্টে ইমরান খান জেলে যাওয়ার পর এবারই তাকে প্রথম জনসম্মুখে দেখা যাবে।
আদালতের নির্দেশে নির্ধারিত তারিখে ইমরান খান আদালতে উপস্থিত থাকবেন কিনা আইন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের কাছে তা জানতে চাইলে তিনি এ নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য করেননি।
ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ইসলামাবাদে গোপন একটি তারবার্তা পাঠিয়েছিলেন। সেই তারবার্তা ইমরান পরে ফাঁস করেছেন অভিযোগে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইনে তার বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়েছিল।
গত মাসে ইমরান খানকে এ মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। এরপর থেকেই তার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থাকার কথা বলে কারাগারের মধ্যেই একটি বিশেষ আদালত বসিয়ে তার বিচারকাজ চালানো হচ্ছিল।
মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাইকোর্ট এ বিচারকে অবৈধ ঘোষণা করেছে এবং বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে ইমরানের বিচারের নির্দেশ দিয়ে তার বিচার পুনরায় শুরু করতে বলেছে।
গত বছর অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রীত্ব হারান ইমরান। এরপর তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগে মামলা হয়। যদিও সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী সব অভিযোগই অস্বীকার করে বলেছেন, ৮ ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে তাকে দাঁড়াতে বাধা দেওয়ার জন্য সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে এসব মামলা করা হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: