৪২ দিনের বেশি সময় ধরে গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে ধ্বংসের পাশাপাশি জিম্মিদের উদ্ধার করার মিশন নিয়ে তারা এ হামলা চালাচ্ছে। তবে ইসরায়েলের বিশেষজ্ঞ ও সাবেক নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলছেন, হামাসকে ধ্বংস করে জিম্মিদের উদ্ধার করা তেল আবিবের পক্ষে সম্ভব হবে না। খবর মিডল ইস্ট মনিটরের।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত আর্মি রেডিও রাজি বারকাই বলেন, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী যে দুটি মিশন সম্পাদন করতে চাইছে, সেগুলো হচ্ছে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলনকে ধ্বংস করা এবং একই সঙ্গে জিম্মিদের উদ্ধার করা। কিন্তু এ দুটি এক সঙ্গে সম্পাদন করা অসম্ভব।
বরং ইসরায়েলের রিজার্ভ আমির সাবেক প্রধান জেনারেল জিওরা এইল্যান্ড বিশ্বাস করেন, ইসরায়েলের হামলায় হামাস ভেঙে যায়নি। এটি শুধু তাদের নেতৃত্ব বিদ্যমান থাকার জন্যই নয়, বরং তাদের দীর্ঘদিনের অধ্যবসায় এবং তাদের অবিচল থাকার মনোভাবের কারণেই এটি ঘটেছে।
তিনি আরও বলেন, যতদিন হামাস তাদের এসব বিষয় অব্যাহত রাখতে পারবে এবং জিম্মিদের তাদের হাতে ধরে রাখতে পারবে, ততদিন পর্যন্ত তারা টিকে থাকবে। আর তারা বিশ্বাস করে, একটি সময়ে এসে আন্তর্জাতিক চাপ বা অন্য কোনো কারণে ইসরায়েল তাদের হামলা বদ্ধ করতে বাধ্য হবে। সুতরাং হামাসকে পরাজিত করা ইসরায়েলি বাহিনীর পক্ষে সম্ভব হবে না।
এদিকে ইসরায়েলের চ্যানেল ১৩-এর আরব বিষয়ক সংবাদদাতা জেভি ইয়েহেজকেলি জোর দিয়ে বলেন, গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পরও হামাস কিন্তু দুর্দশার মধ্যে পড়েনি। কারণ ইসরায়েল জোর দাবি করার পরও আল-শিফা মেডিকেল হাসপাতালের নিচে কোনো সিনিয়র নেতাদের খুঁজে পায়নি। ফলে এটা বলাই যায় যে, তাদের নেতৃত্ব আগের মতোই বিদ্যমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, ৪২ দিন ধরে চালানো ইসরায়েলি হামলায় গাজায় পাঁচ হাজার শিশু এবং তিন হাজার নারীসহ ১২ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। এদের মধ্যে সামরিক লোকজন খুবই কম। কিন্তু তারপরও কোনো প্রকার যুদ্ধবিরতি দিতে নারাজ ইসরায়েল সরকার। তাদের আশঙ্কা যুদ্ধবিরতি দেওয়া হলে হামাস পুনর্গঠনের সুযোগ পাবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: