সাত দিনেও সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার হয়নি ৪০ শ্রমিক

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৮ নভেম্বর ২০২৩ ০৫:১৫

ভারতের উত্তরকাশীতে ধসে পড়া সুড়ঙ্গে চলছে উদ্ধারকাজ : সংগৃহীত ছবি ভারতের উত্তরকাশীতে ধসে পড়া সুড়ঙ্গে চলছে উদ্ধারকাজ : সংগৃহীত ছবি

ছয় দিন পেরিয়ে সাত দিনে পা দিল ভারতের উত্তরকাশীর উদ্ধারকাজ। টানা সাত দিন ধরে ধসে পড়া সুড়ঙ্গে আটকে আছেন ৪০ জন শ্রমিক। সামনের দিক থেকে অনেক চেষ্টা করেও বার বার বাধা আসছে। এবার তাই ওপর দিক থেকে খননকাজ চালিয়ে ধসে পড়া সুড়ঙ্গের ভেতরে পৌঁছনো যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন উদ্ধারকারীরা।

এত দিন সুড়ঙ্গের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে মাটি খুঁড়ে পাইপ ঢোকানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল। ওই পাইপের মাধ্যমে শ্রমিকদের উদ্ধারের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে ব্যাঘাত ঘটেছে শুক্রবার। নতুন করে ধস নামায় উদ্ধারকাজ আপাতত স্থগিত।

আটকে থাকা ৪০ জন শ্রমিকের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখা হয়েছে। তবে সুড়ঙ্গ থেকে এখনো কাউকে উদ্ধার করা যায়নি। পাইপের মাধ্যমেই তাঁদের কাছে খাবার ও অন্যান্য দরকারি জিনিস পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুর ২টা ৪৫ মিনিট নাগাদ সুড়ঙ্গ খুঁড়ে পঞ্চম পাইপটি ঢোকানোর সময় বিপদ ঘটে। সুড়ঙ্গ ভাঙার তীব্র শব্দ কানে আসে উদ্ধারকারীদের। তৎক্ষণাৎ উদ্ধারকাজ থামিয়ে দেওয়া হয়।

মাটি খোঁড়ার জন্য দিল্লি থেকে অত্যাধুনিক খননযন্ত্র আনানো হয়েছিল। সেই যন্ত্রে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। অন্য একটি বিদেশি যন্ত্রের মাধ্যমে কাজ চলছিল।

মধ্য প্রদেশের ইনদওর থেকে আরো একটি বিশেষ যন্ত্র আনানো হচ্ছে। সেই যন্ত্র এসে পৌঁছলে আবার মাটি খোঁড়ার কাজ শুরু হবে। সুড়ঙ্গের ৬০ মিটার দীর্ঘ ধ্বংসস্তূপের পেছনে আটকে আছেন শ্রমিকরা। এখনো পর্যন্ত খোঁড়া গেছে মাত্র ২৪ মিটার।

উদ্ধারকারীদের বিশেষ দল আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেবে, ওপর দিক থেকে নতুন করে খোঁড়ার কাজ শুরু করা যায় কি না। তা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ হবে, তা নিয়েও আলোচনা চলছে। শনিবার উত্তরকাশীর উদ্ধারকাজ পরিদর্শনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর (পিএমও) থেকে একটি দল ঘটনাস্থলে গেছে।

এদিকে সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের পরিবারে উদ্বেগ বাড়ছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পাইপের মাধ্যমে কথা বলছেন তাঁরা। কিন্তু তাতে চিন্তা কমছে না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সুড়ঙ্গের ভেতরে প্রত্যেক শ্রমিকই সুস্থ আছেন। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ একবারের জন্যেও বিচ্ছিন্ন হয়নি। দ্রুত উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।


সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: