বিশ্ব এখন একটি ‘সন্ধিক্ষণে’ : পুতিন

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১০ মে ২০২৩ ০৮:০৭

বিশ্ব এখন একটি ‘সন্ধিক্ষণে’ : পুতিন বিশ্ব এখন একটি ‘সন্ধিক্ষণে’ : পুতিন

 

বিশ্ব আজ এক সন্ধিক্ষেণে দাঁড়িয়ে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে আবারও ‘সত্যিকারের যুদ্ধ’ শুরু হয়েছে। মস্কোর রেড স্কয়ারে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে একথা বলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

তিনি বলেন, রাশিয়া একটি শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ দেখতে চায়। গোটা দেশই এখন ইউক্রেইনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’-এর পেছনে রয়েছে উল্লেখ করে পুতিন এতে জয়লাভের অঙ্গীকার করেন এবং বলেন, ইউক্রেইনে লড়াই করা সেনাদের ওপরই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।

ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসন ১৫ মাসে গড়িয়েছে। চলমান এই যুদ্ধের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার আবহে রাশিয়া ১৯৪৫ সালে নাৎসি জার্মানিকে হারানোর বর্ষপূর্তিতে ‘বিজয় দিবস’ উদযাপন করছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিজয়ের দিন ৯ মে প্রতিবছরই রাশিয়ায় বেশ ধুমধামের সঙ্গে পালিত হয়। তবে এবার রাশিয়ায় সাম্প্রতিক কয়েকটি হামলার ঘটনার পর নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার কারণে এই দিবসের অনেক অনুষ্ঠানই কাটছাঁট করা হয়েছে।

বিবিসি জানায়, মঙ্গলবার এই দিবস পালনকালে মস্কোয় কুচকাওয়াজের ভাষণে পুতিন বলেন, “আমাদের মাতৃভূমির বিরুদ্ধে আবারও সত্যিকারের যুদ্ধ শুরু হয়েছে। আজ সভ্যতা চূড়ান্ত এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে।”

রাশিয়ার বিরুদ্ধে ঘৃণা ও বিদ্বেষ উস্কে দেওয়ার জন্য পশ্চিমাদেরকে দোষারোপ করেন তিনি। যুদ্ধে রাশিয়ার জয়ের ডাক দেন পুতিন।

ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসনকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে নাৎসিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সঙ্গে তুলনা করে পুতিন বলেন, তার দেশ সার্বভৌমত্বকে সুরক্ষিত রাখতে লড়ছে।

পুতিন বরাবরই ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসনকে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই বলে বর্ণনা করে এসেছেন। তার কথায়, পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেইন সরকারকে সমর্থন দিয়ে রাশিয়ার জন্য বাড়তি হুমকি সৃষ্টি করেছে।

পুতিন তার ভাষণে, বিশ্বজুড়ে সংঘাত, অভ্যুত্থান উস্কে দেওয়ার পেছনে পশ্চিমা এলিটদের হাত রয়েছে বলে দোষারোপ করেন। রাশিয়ার ধ্বংস এবং পতন ডেকে আনা ছাড়া তাদের আর কোনও লক্ষ্য নেই এবং এখানে নতুনও কিছু নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।

পুতিন বলেন, মস্কো এ সবকিছুকেই জয় করবে। ইউক্রেইন যুদ্ধে যোগ দেওয়া যেসব সেনারা মস্কোর রেড স্কয়ারের কুচকাওয়াজে উপস্থিত ছিল তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “গোটা দেশ আপনাদের সঙ্গে আছে। আপনাদের লড়ে যাওয়ার চেষ্টার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এখন আর কিছু নেই।

“দেশের নিরাপত্তা আজ আপনাদের হাতে। আমাদের রাষ্ট্র এবং জনগণের ভবিষ্যৎ আপনাদের ওপরই নির্ভরশীল,” বলেন তিনি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: