ডেভিড ক্যামেরনের বিস্ময়কর প্রত্যাবর্তন

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৩ নভেম্বর ২০২৩ ২১:২০

ব্রিটিশ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন : সংগৃহীত ছবি ব্রিটিশ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন : সংগৃহীত ছবি


ব্রিটিশ রাজনীতিতে তোলপাড়। হঠাই করেই ব্যাপক রদবদল হয়েছে ঋষি সুনাকের মন্ত্রিসভায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্র্যাভারম্যানকে বরখাস্ত করার পর পরিবর্তন আনা হয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। যার মধ্যদিয়ে আবারও রাজনীতিতে ফিরলেন তিনি।

১৩ নভেম্বর, সোমবার এক প্রতিবেদনে এ খবর নিশ্চিত করেছে ফিনান্সিয়াল টাইমস। প্রতিবেদন মতে, প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক সরকারের মন্ত্রিসভায় হঠাই করেই ব্যাপক রদবদল আনা হয়েছে। সেই রদবদলের অংশ হিসেবেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ডাক পেয়েছেন ডেভিড ক্যামেরন।

ক্যামেরন ২০১০ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বের হয়ে যাওয়া (ব্রেক্সিট) নিয়ে অনুষ্ঠিত গণভোটে হেরে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর পদের পাশাপাশি সংসদ সদস্যপদও ছাড়েন তিনিবছর অনেকটা আড়ালেই ছিলেন ক্যামরন। তবে হঠাৎ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আবারও বিস্ময়করভাবে প্রত্যাবর্তন করলেন তিনি।

ক্যামেরন এখন সংসদ সদস্য নন। তবে বিশেষ বিবেচনায় তাকে মন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ক্যামেরন জেমস ক্লিভারলির স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। আর ক্লিভারলিকে করা হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সদ্য বরখাস্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্র্যাভারম্যানের জায়গা নিয়েছেন তিনি।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে লন্ডনে ফিলিস্তিনপন্থিদের বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের কর্মকাণ্ড নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান। এর মধ্য দিয়ে ঋষি সুনাকের ‘কর্তৃত্বকে অস্বীকার’ করেন তিনি। আর এ কারণেই তাকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।

সমালোচকরা বলেছেন, ফিলিস্তিনপন্থিদের বিক্ষোভ নিয়ে ব্র্যাভারম্যানের অবস্থান চলমান উত্তেজনা আরও বাড়িয়েছে এবং ডানপন্থি বিক্ষোভকারীদের লন্ডনের রাস্তায় নামতে উৎসাহিত করেছে। মূলত এরপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য চাপে পড়েন সুনাক।

ইসরাইল-হামাস সংঘাত নিয়ে ১১ নভেম্বর, শনিবার লন্ডনের রাস্তায় ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করেন তিন লাখেরও বেশি মানুষ। সেখানে ডানপন্থি বিক্ষোভকারীরা অতর্কিত হামলা চালানোয়, শতাধিক বিক্ষোভকারীকে (ডানপন্থি) গ্রেফতার করে লন্ডন পুলিশ।

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের থামাতে অপর একদল বিক্ষোভকারী মিছিলে অতর্কিত হামলা চালানোয় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

পরে এ হামলার নিন্দা জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান ফিলিস্তিনিদের পক্ষে লাখো জনতার এ বিক্ষোভ সমাবেশকে আখ্যায়িত করেন ‘ঘৃণা সমাবেশ’ হিসেবে। এমনকি ফিলিস্তিনপন্থিদের বিক্ষোভ বন্ধ করে দিতে লন্ডন পুলিশকে অনুরোধও জানিয়েছিলেন তিনি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: