রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে গাড়ি চলাচল আটকে বিক্ষোভ করছিল একদল বিক্ষোভকারী। এর ফলে বিশাল যানজট তৈরি হয় রাস্তাজুড়ে। এতে আটকে থাকতে থাকতে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায় বয়স্ক এক ব্যক্তির। একপর্যায়ে গাড়ি থেকে নেমে তিনি প্রথমে রাস্তা পরিষ্কার করতে বলেন বিক্ষোভকারীদের। কিন্তু তাতে রাজি না হওয়ায় রেগেমেগে গুলি চালাতে শুরু করেন তাঁদের ওপর। এতে প্রাণ হারান অন্তত দুই বিক্ষোভকারী। সম্প্রতি মধ্য আমেরিকার দেশ পানামায় ঘটেছে এই ঘটনা।
সিএনএনের খবরে জানা যায়, ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার পানামার রাজধানী থেকে প্রায় ৫০ মাইল দক্ষিণে প্যান আমেরিকান মহাড়ক অবরোধ করেছিলেন খনি-বিরোধী একদল বিক্ষোভকারী।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, বয়স্ক এক লোক রাস্তা থেকে গাছের গুঁড়ি সরাতে বিক্ষোভকারীদের চাপ দিচ্ছেন। যানজটের কারণে তাকে স্পষ্টতই হতাশ মনে হচ্ছিল। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি পিস্তল বের করেন এবং গুলি চালান।
পানামার ন্যাশনাল পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন বন্দুকধারীকে গ্রেফতার করেছে তারা।
আশির দশকে স্বৈরাশাসকবিরোধী বিক্ষোভের পর সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভের মুখে পড়েছে পানামা। দেশটির হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে সরকারের বিরুদ্ধে বিতর্কিত খনি চুক্তির প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
সম্প্রতি কানাডীয় মাইনিং কোম্পানি ফার্স্ট কোয়ান্টাম মিনারেলসের অধীনস্থ একটি স্থানীয় সহযোগী সংস্থাকে তামা উত্তোলনের অনুমতি দিয়েছে পানামা সরকার।
চুক্তি অনুসারে, আগামী ২০ বছর জঙ্গলবেষ্টিত একটি খনি থেকে তামা উত্তোলন করবে কানাডীয় কোম্পানিটি, যা আরও ২০ বছর বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিনিময়ে প্রতি বছর সাড়ে ৩৭ কোটি ডলার করে পাবে পানামা সরকার।
তবে পরিবেশবিদরা বলছেন, এই খনির কারণে অন্তত ৩২ হাজার একর জমি ধ্বংস হবে এবং এটি ওই এলাকার পানযোগ্য পানিকে দূষিত করে তুলবে।
পানামা সরকার অবশ্য বলছে, খনিটি চালু হলে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে এবং অতিপ্রয়োজনীয় রাজস্বও জোগাড় হবে।
তবে তাতে মন গলেনি বিরোধীদের। তারা চুক্তি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করেই চলেছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: