ইসরায়েলকে অবশ্যই গাজায় নারী ও শিশু হত্যা বন্ধ করতে হবে। গাজায় বোমা হামলার কোনও যুক্তি নেই এবং সেখানে যুদ্ধবিরতি হলে ইসরায়েল উপকৃত হবে। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এ কথা বলেন। শনিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, হামাসের ‘সন্ত্রাসী’ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ‘স্পষ্টভাবে নিন্দা’ করছে ফ্রান্স। কিন্তু ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার পাশাপাশি ‘গাজায় ইসরায়েলের এই বোমা হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি আমরা’।
যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনসহ অন্যান্য দেশের নেতারা তার এই যুদ্ধবিরতির আহ্বানে যোগ দিক, এটা তিনি চান কিনা জানতে চাইলে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, আমি আশা করি আমার আহ্বানের তারা যোগ দেবে।
গাজা যুদ্ধ সম্পর্কে প্যারিসে মানবিক সহায়তা সম্মেলনের পরের দিন বিবিসিকে দেওয়া ওই সাক্ষাকারে মাখোঁ বলেন, প্যারিসের শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত সমস্ত সরকার এবং সংস্থা ‘স্পষ্টভাবে এই উপসংহারে’ পৌঁছেছেন যে- ‘গাজার সংঘাতে প্রথমে মানবিক বিরতি এবং সেখান থেকে যুদ্ধবিরতিতে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনও সমাধান নেই। আর সেটি হলে সেইসব বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার সুযোগ দেওয়া যাবে। যাদের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের কোনো সম্পর্ক নেই’।
প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে আজ, বেসামরিক লোকদের ওপর বোমা হামলা করা হচ্ছে। শিশু, নারী ও বৃদ্ধ মানুষদের বোমা মেরে হত্যা করা হয়েছে। তাই এটি চলার কোনও কারণ নেই এবং এই হামলাকে বৈধতাও দেওয়া যায় না। তাই আমরা ইসরায়েলকে হামলা থামানোর জন্য অনুরোধ করছি।’
মূলত গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এছাড়া ইসরায়েলের এই বিমান হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার কোনও অবকাঠামো। তারা মসজিদ, গির্জা, স্কুল, হাসপাতাল ও বেসামরিক মানুষের বাড়ি-ঘর সব জায়গায় হামলা চালিয়ে আসছে।
অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যেই ১১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নিহত এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি শিশু। এছাড়া নিহতদের মধ্যে নারীর সংখ্যাও তিন হাজারের বেশি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: