প্রায় ১ মাস ধরে চলমান ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সহিংসতা দিন দিন ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে। প্রতিদিনই অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিধ্বংসী হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এই পরিস্থিতিতে গাজায় আর কোনো নিরাপদ জায়গা নেই বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার পরিচালক থমাস হোয়াইট।
৪ নভেম্বর, শনিবার দেওয়া বিবৃতিতে থমাস আরও বলেন, ‘গাজার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের আর তেমন কিছুই করার নেই।’ বৃটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
সহিংসতার শুরুর সেই ৭ অক্টোবর থেকে জাতিসংঘের পরিচালিত স্কুলগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন লাখ লাখ বেসামরিক ফিলিস্তিনি। কিন্তু শরণার্থী শিবির কিংবা মসজিদ-গীর্জা, কোনোকিছুই ধ্বংসের বাকি রাখেনি ইসরায়েলি সেনারা। তারা অনবরত গাজার হাসপাতালগুলোতেও ভয়ংকর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে অসহায় ফিলিস্তিনিদের উদ্দেশ্যে থমাস হোয়াইট বলছেন, ‘আমরা এখন আর জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে গাজার আশ্রিতদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে থেকে ৩৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তবে এর জন্য কোন পক্ষ বা কারা দায়ী তা স্পষ্ট না।’
সংঘাতের এখন পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এরই মধ্যে ৯ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে বলে জানিয়েছে গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ২২ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
সর্বশেষ ইসরায়েলি বিমান হামলার শিকার হয়েছে মধ্য গাজার আল শিফা হাসপাতাল থেকে রাফাহ ক্রসিংয়ে যেতে থাকা একটি অ্যাম্বুলেন্সের বহর। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে ঐ হামলায় অন্তত ১৩ জন মারা গেছে। মিশরে গতকাল থেকেই মূলত চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্স চলাচল শুরু হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় সাংবাদিকসহ অনেক সেচ্চাসেবী এমনকি জাতিসংঘের কর্মীরাও প্রাণ হারিয়েছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: