লেবাননভিত্তিক প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর হুমকির প্রতিক্রিয়ায় ২২ অক্টোবর রোববার উত্তর সীমান্তের কাছে ১৪টি অতিরিক্ত সম্প্রদায়কে সরিয়ে নিয়েছে ইসরাইল। গত দু’সপ্তাহ ধরে অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল, রকেট, মর্টার ও ছোট অস্ত্রের গুলি ব্যবহার করে হামলা চালিয়ে আসছে হিজবুল্লাহ।
এর আগে, ১৬ অক্টোবর সোমবার ২৬টি সম্প্রদায়কে সরিয়ে নিয়েছে ইসরাইল। গত সপ্তাহে কিরিয়াত শমোনা শহর থেকেও সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
একটি যৌথ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইসরাইল প্রতিরক্ষা বাহিনী ঘোষণা করেছে, তাদের জাতীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বলেছে যে তারা উত্তর ইসরাইলের অতিরিক্ত সম্প্রদায়গুলো রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে উচ্ছেদের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
ঘোষণা বলা হয়েছে, সম্প্রদায়ের সংযোজনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট অনুমতি দিয়েছেন। উত্তর কমান্ড স্থানীয় কর্তৃপক্ষের প্রধানদের সিদ্ধান্তের বিষয়ে আপডেট করেছে। পরিকল্পনাটি স্থানীয় পৌরসভার প্রধান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জাতীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে।
রোববার যে ১৪টি সম্প্রদায় সরিয়ে নেয়া হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে স্নির, ড্যান, বেইট হিলেল, শিয়ার ইয়াশুভ, হাগোশ্রিম, লিমান, মাতজুভা, আইলন, গোরেন, গর্নট হাগালিল, ইভেন মেনাচেম, সাসা, জিভন এবং রামোট নাফতালি।
২৮টি ছাড়াও ইতোমধ্যেই সীমান্তের নিকটবর্তী হওয়ার কারণে গাজার, দিশোন, কেফার ইউভাল, মার্গালিওট, মেটুলা, আভিভিম, ডোভেভ, মায়ান বারুচ, বারাম, মানারা, ইফতাচ, মালকিয়া, মিসগাভ আম, ইরন, দাফনা, আরব আল-আরামশে, শ্লোমি, নেতু’আ, ইয়া’রা, শেতুলা, মাতাত, জারি’ত, শোমেরা, বেত্জেট, আদমিত, রোশ হানিক্রম, হানিতা ও কেফার গিলাদি সম্প্রদায়গুলো সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। এই সম্প্রদায়ের মধ্যে রয়েছে ইহুদি ও আরব সম্প্রদায়।
ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তাদের প্রতিরক্ষা বাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলো হিজবুল্লাহ সামরিক অবকাঠামো এবং পর্যবেক্ষণ সরঞ্জামগুলোতে আঘাত করেছে।
সূত্র : দ্য জেরুসালেম পোস্ট
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: