আফ্রিকার দেশ সুদানে সংঘর্ষ দিন দিন আরও ছড়িয়ে পড়ছে। রাজধানী খার্তুমে রোববার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গত ছয় মাস ধরে প্রতিনিয়ত এমনই যুদ্ধ চলছে। এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ১৭ সেপ্টেম্বর রোববার সুদানের রাজধানী খার্তুমে আধাসামরিক বাহিনী টানা দ্বিতীয় দিনের মতো সেনা সদর দফতরে হামলা চালালে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, এখন সেনা সদর দফতরের চারপাশে বিভিন্ন ধরণের অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ চলছে। অন্যরা ৩৫০ কিলোমিটার (প্রায় ২২০ মাইল) দক্ষিণে এল-ওবেদ শহরে লড়াইয়ের কথা জানিয়েছেন। নিয়মিত সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের মধ্যে যুদ্ধ শনিবার তীব্রতর হয়, যার ফলে খার্তুমের কেন্দ্রস্থলে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ভবন পুড়ে যায়।
সুদানে সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং তার সাবেক ডেপুটি আরএসএফ কমান্ডার মোহাম্মদ হামদান দাগলোর মধ্যে গত ১৫ এপ্রিল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৭,৫০০ লোক নিহত হয়েছে।
যুদ্ধে এ পর্যন্ত ৫০ লাখের বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে। যার মধ্যে খার্তুমের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বাস করা ২৮ লাখ মানুষ উপর্যুপরি বিমান হামলা, আর্টিলারি ফায়ার এবং রাস্তার যুদ্ধ থেকে বাঁচতে পালিয়েছে। রাজধানীতে বোমা ও বন্দুকের গুলির শব্দে শহরটিতে থাকা লক্ষাধিক মানুষ রোববার মাঝ রাতে ঘুম থেকে জেগে উঠে। ধোঁয়ার আস্তরণে ঢেকে যায় আকাশ।
গত সপ্তাহে মেয়োতে একটি বাজারে বিমান হামলায় কমপক্ষে ৫১ জন নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের মতে, এটি যুদ্ধ চলাকালীন সবচেয়ে মারাত্মক একক হামলার মধ্যে একটি।
সবচেয়ে খারাপ সহিংসতা চলছে খার্তুম এবং দারফুরের পশ্চিমাঞ্চলে। ওই অঞ্চলে আরএসএফ এবং সহযোগী মিলিশিয়াদের দ্বারা জাতিগতভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ কিনা, সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে।
দক্ষিণ কোর্দোফান অঞ্চলেও লড়াই হয়েছে, সেখানকার প্রত্যক্ষদর্শীরা রিপোর্ট করেছেন, রোববার এল-ওবেইদ শহরে সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে ব্যাপক গুলি বিনিময় হয়েছে।
সূত্র : এএফপি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: