অতিবৃষ্টিতে হংকংকে শুরু হয়েছে বন্যা। বলা হচ্ছে ১৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভারী বৃষ্টিপাত এটি। বৃষ্টিতে ঘনবসতিপূর্ণ শহর, রাস্তা, শপিং মল এবং মেট্রো স্টেশন প্লাবিত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে এবং কর্মীদের বাড়িতে থাকতে বলেছে। পাহাড়ি এলাকায় পানির স্রোত বেড়ে যাওয়ায় ভূমিধসের সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাস্তাগুলো পানিরে নিচে চলে গেছে। হংকংকে কাউলুনের সঙ্গে সংযোগকারী প্রধান টানেলের মধ্যে একটি শহরের ক্রস হারবার টানেল। সেটিও বন্যায় ডুবে গেছে।
হংকং-এর সংবাদ মাধ্যম রাত ১১ পর্যন্ত ১৫৮.১ মিলিমিটার (৬.২ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাতের কথা জানিয়েছে।
হংকং অবজারভেটরি বৃহস্পতিবার রাত ১১ টায় ‘কালো বৃষ্টিপাত’- এর সংকেত দিয়েছে। যার অর্থ ৭০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত কমেছে বা এক ঘন্টার মধ্যে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ছাড়া ভূমিধস এবং বন্যার সতর্কতা দেওয়া হয়েছে।
৭ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার রাত থেকে হংকংয়ের প্রধান দ্বীপ, কাউলুন এবং শহরের নতুন অঞ্চলের উত্তর-পূর্ব অংশে ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। টাইফুন ‘হাইকুই’-এর কারণে বৃহস্পতিবার থেকে চীনের গুয়াংডং উপকূলে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
শহরটির নেতা জন লি বলেছেন, তিনি দেশের বেশিরভাগ অংশে ভয়াবহ বন্যার বিষয়ে খুব উদ্বিগ্ন এবং সমস্ত বিভাগকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। হংকং এবং পার্শ্ববর্তী শহর শেনজেনের মধ্যে দুটি চেক পয়েন্ট বন্ধ করা হয়েছে বলে সরকার জানিয়েছে। হংকংয়ের রেল কর্তৃপক্ষ বলেছে, একটি ট্রেন লাইন বন্ধ রাখা হয়েছে এবং অন্যগুলো বিরতিতে দিয়ে দিয়ে চালু করা হচ্ছে।
বন্যা এবং যানবাহন সংকটের কারণে শুক্রবার সমস্ত স্কুল স্থগিত করা হয়েছে।
এদিকে হংকংয়ের ম্যাকাউ-এর ফেরি অপারেটররা বলেছেন, বেশ কয়েকটি ফেরি ভ্রমণ স্থগিত করা হবে। ম্যাকাউ এর আবহাওয়া অফিস শুক্রবার সর্বনিম্ন ‘হলুদ বৃষ্টিপাত’-এর সতর্কতা জারি করেছে। ফলে স্কুল এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকবে।
সূত্র: রয়টার্স
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: