তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দণ্ড স্থগিতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় একে 'অন্ধকার অধ্যায়' বলে মন্তব্য করেছেন শাহবাজ শরিফ। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যানের সাজা স্থগিতে নমনীয় হওয়ায় ইসলামাবাদ আদালত ও প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়ালের প্রতি নিন্দা জানান তিনি।
২৯ আগস্ট, মঙ্গলবার ইমরানের সাজা স্থগিতের ঘোষণা করেন বিচারক। এই রায়কে পিটিআই চেয়ারম্যানের জন্য বড় আইনি বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক বিবৃতিতে সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ বলেছেন, ইমরান খানের প্রতি প্রভাবিত হয়েছেন ইসলামবাদের উচ্চ আদালত। রায় ঘোষণার আগেই কী হতে যাচ্ছে, তা যদি সবাই জানে তাহলে এটি বিচার ব্যবস্থার জন্য উদ্বেগজনক।
সাজা স্থগিতের ঘটনায় টুইটারে আরও লিখেছেন, বিচার ব্যবস্থার এমন ভূমিকা ইতিহাসের অন্ধকার অধ্যায় হয়ে লেখা থাকবে। দাঁড়িপাল্লা একদিকে। কিন্তু ন্যায়বিচারকে ক্ষুণ্ন করে এমন রায় কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
আদালত সংক্ষিপ্ত রায়ে ঘোষণা করেছে যে, রায়টি একদিন আগে থেকেই সংরক্ষিত ছিল। যেখানে কর্তৃপক্ষকে পিটিআই প্রধানকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ডনের প্রতিবেদনে জানা গেছে, প্রধান বিচারপতি আমির ফারুক ও বিচারপতি তারিক মাহমুদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলে বহুল প্রত্যাশিত আদেশ ঘোষণা করেন।
তোশাখানা মামলায় মুক্তি পেলেও এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না ইমরান খান। কূটনৈতিক তারবার্তা ফাঁসের মামলায় তাকে কারাগারে থাকতে হচ্ছে। এর আগে আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে তোশাখানা মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড হয় ইমরান খানের। পাশাপাশি তিনি পাঁচ বছরের জন্য রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ হন। ফলে বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ শেষ হয়ে যায় তার। ইমরান খান ওই মামলার রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন। অবশেষে এই এক মামলা থেকে রেহাই পেলেন তিনি।
সূত্র: জিও নিউজ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: