প্রধানমন্ত্রীকে না জানিয়েই ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেনের সঙ্গে বৈঠক করেন লিবিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাজলা আল মাঙ্গৌশ। এমন খবর সামনে আসতেই তাকে বরখাস্ত করেছেন লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ দ্বেইবা। বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, তাদের ওই বৈঠকটি ছিল অনানুষ্ঠানিক।
ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় না লিবিয়া। ত্রিপোলি বরাবরই ফিলিস্তিনের পক্ষে। তারা ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা চায়। কিন্তু লিবিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ডে দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন লিবিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাজলা আল মাঙ্গৌশের সঙ্গে তার বৈঠককে সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক একটি ধাপ বলে উল্লেখ করেছেন।
তেল সমৃদ্ধ লিবিয়াসহ আরব বিশ্বের আরও বেশি দেশ এবং মুসলিম প্রধান দেশগুলোর সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চাচ্ছে ইসরায়েল। তবে লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট কাউন্সিল বলছে, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার যে কোনো প্রক্রিয়াই তাদের কাছে অবৈধ। দেশের তিনটি প্রদেশের প্রতিনিধিত্ব করে থাকে এই প্রেসিডেন্ট কাউন্সিল।
পার্লামেন্টে স্পিকারের কার্যালয় মাঙ্গৌশের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ এনেছে এবং এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ দ্বেইবা তার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে কোহেন বলছেন, গত সপ্তাহে রোমে একটি সম্মেলনের ফাঁকে মাঙ্গৌশের সঙ্গে বৈঠকের সুযোগ হয় তার। সে সময় তারা দুদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, তারা মানবিক সমস্যা, কৃষি, পানি ব্যবস্থাপনা এবং সিনাগগ ও কবরস্থান সংস্কারসহ লিবিয়ায় ইহুদি ঐতিহ্য সংরক্ষণের গুরুত্বের বিষয়ে ইসরায়েলের সাহায্য নিয়ে কথা বলেছেন।
লিবিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, মাঙ্গৌশ ইসরায়েলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং যে বৈঠকের কথা বলা হয়েছে তা ছিল ইতালির পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে একটি বৈঠকের সময় হওয়া অনির্ধারিত একটি বৈঠক।
এদিকে ওই বৈঠকের খবর সামনে আসতেই রাজধানী ত্রিপলি এবং অন্যান্য শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করা হয়েছে, টায়ারে আগুন দেওয়া হয়েছে এবং বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনি পতাকা হাতে নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন।
সূত্র : বিবিসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: