সুদানের দারফুরে একটি বিশাল গণকবর পাওয়া গেছে। সেখানে কমপক্ষে ৮৭টি লাশ কবর দেওয়া হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে ১৩ জুলাই, বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস বলেছে, তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য রয়েছে যে আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এ ঘটনার জন্য দায়ী।
পশ্চিম দারফুরে যখন এ গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে, তখন সুদানের সংকট সমাধানে সহায়তা করতে একটি আঞ্চলিক শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে মিসর। জাতিসংঘ বলেছে যে ওই গণকবরে মাসালিত গোষ্ঠীর মানুষের লাশ রয়েছে। এটা সেখানকার জাতিগত সংঘাতকে ইঙ্গিত করছে।
একই সময়ে সুদানে দেশটির সেনাবাহিনী ও আরএসএফ একটি ভয়াবহ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে। ১৫ এপ্রিল থেকে ওই সংঘাত শুরু হয়।
জাতিসংঘের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০ জুন থেকে ২১ জুনের মধ্যে এল-জেনিনা শহরের কাছে মৃতদেহগুলো দাফন করতে স্থানীয় লোকজনকে বাধ্য করা হয়েছিল। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন জানিয়েছে, অনারব মাসালিত গোষ্ঠীর লোকদের বিরুদ্ধে আরএসএফ ও আরব মিলিশিয়ারা আক্রমণ চালিয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেছেন, আমি বেসামরিক ব্যক্তিদের হত্যার তীব্র নিন্দা জানাই। একইসাথে যুদ্ধরত ব্যক্তিদেরকে হত্যার বিষয়টিতেও সমালোচনা করছি। হত্যাকাণ্ডের সময় মৃত ব্যক্তি ও তাদের পরিবার আর সম্প্রদায়ের সঙ্গে যে নির্মম ও অসম্মানজনক আচরণ করা হয়েছে তাতে আমি আরও শঙ্কিত।
অপরদিকে আরএসএফ বলছে যে তারা ওই গণকবরের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট নয়। তাদের এক শীর্ষ কর্মকর্তা রয়টার্স নিউজ এজেন্সিকে এ তথ্য দিয়েছেন।
সূত্র : আল-জাজিরা
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: