ফাইল ছবি
গত অক্টোবর মাসে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় প্রায় ৯৭০ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে ইসরায়েল। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষের বরাতে বার্তা সংস্থা তাস এ খবর জানিয়েছে।
ইসরায়েলের ৯৬৯ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের মধ্যে- ৪৫৫টি বিমান ও কামান হামলা এবং বেসামরিক নাগরিক ও তাদের বাড়িঘরের ওপর ২৯৮টি গোলাবর্ষণ হয়েছে। এসব হামলার ফলে ৪১৮ জন নিহত এবং ১১৪০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।
আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করছে, ইসরায়েল এখনো গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছে।
গাজার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শহরের মানুষ খাদ্য, ওষুধ, পানীয় জল এবং জ্বালানির তীব্র ঘাটতির মুখোমুখি হচ্ছে। শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে তীব্র বাতাস ও ঝড় অঞ্চলটির সংকট আরও গভীর করেছে।
প্রসঙ্গত, গত ১১ অক্টোবর থেকে গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি গণহত্যার যুদ্ধ অঞ্চলজুড়ে নিহতের সবশেষ সংখ্যা ৭১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। একই সময়ে ১ লাখ ৭১ হাজারের বেশি বেশি মানুষ আহত হয়েছে। অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।
চলতি বছরের শুরুতেও একটি যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে ইসরায়েল গত ২৭ মে থেকে গাজায় পৃথক সাহায্য বিতরণ উদ্যোগ শুরু করেছিল। এই পদক্ষেপের পর অঞ্চলটিতে দুর্ভিক্ষ প্রকট হয়ে ওঠে। ইসরায়েলি বাহিনী খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপরও গুলি চালিয়ে যায়। এর ফলে শত শত মানুষ নিহত হয়। সেই সঙ্গে দুর্ভিক্ষে শিশুসহ অনেকে প্রাণ হারান।
গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য নেতানিয়াহু ও তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। উপত্যকাজুড়ে যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: