ছবি : সংগৃহীত
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার কাছে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে লিবিয়ার সেনাপ্রধানসহ আটজন নিহত হওয়ার ঘটনায় লিবিয়া ও তুরস্কের কর্মকর্তারা যৌথভাবে তদন্ত জোরদার করেছেন। একই সঙ্গে মৃতদেহগুলো দেশে ফেরানোর জন্য প্রয়োজনীয় ফরেনসিক কাজ এবং প্রস্তুতি চলছে।
লিবিয়ার অপরাধ তদন্ত বিভাগের প্রধান মেজর জেনারেল মাহমুদ আশুর বৃহস্পতিবার আঙ্কারায় প্রধান সরকারি কৌঁসুলির কার্যালয়ে একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। যৌথ তদন্তের অংশ হিসেবে এ সফর করেন তাঁরা।
গত মঙ্গলবার লিবিয়ার সেনাপ্রধান মুহাম্মদ আলী আহমেদ আল-হাদ্দাদকে বহনকারী একটি ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ আঙ্কারার এসেনবোগা বিমানবন্দর থেকে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যে সেটিতে বৈদ্যুতিক ত্রুটি দেখা দেয়।
তুরস্কের যোগাযোগবিষয়ক প্রধান বুরহানেত্তিন দুরান বলেন, উড়োজাহাজটি উড়তে শুরু করার ১৬ মিনিটের মাথায় জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানায়।
নিয়ন্ত্রণকক্ষে দায়িত্বরত ব্যক্তিরা উড়োজাহাজটিকে আবার আঙ্কারার দিকে ফিরে যাওয়ার নির্দেশনা দেন। তবে উড়োজাহাজটি নামতে শুরু করার তিন মিনিটের মাথায় সেটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়। পরে আঙ্কারার হায়মানা অঞ্চলের কেসিককাভাক গ্রামে উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়। ওই ঘটনায় উড়োজাহাজের তিনজন ক্রুসহ মোট আটজন নিহত হয়েছেন।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জরুরি অভিযান শুরুর পর উদ্ধারকারী দলগুলো ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করতে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ তদন্তে যুক্ত হয়।
লিবিয়ার মিসরাতা থেকে জানা যায় বলেন, আল-হাদ্দাদের মৃতদেহ দেশে ফেরানোর প্রস্তুতি চলছে। তবে ঠিক কবে তা করা হবে, এটি সুনির্দিষ্ট করে জানা যায়নি।
সূত্র মোতাবেক বৃহস্পতিবার সকালে যোগাযোগবিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, কাল জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে এখন সে সিদ্ধান্ত বদলে যাচ্ছে। এখন তাঁরা সরকারি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ফোনকল পাচ্ছেন। বলা হচ্ছে, শনিবার পর্যন্ত জানাজা স্থগিত হতে পারে।
আরও জানা যায়,, দুর্ঘটনার তীব্রতার কারণে উদ্ধারপ্রক্রিয়ায় দীর্ঘ সময় লাগছে। ধ্বংসাবশেষ বিস্তৃত এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে গেছে এবং ডিএনএ পরীক্ষা করা প্রয়োজন। এ প্রক্রিয়া যত দ্রুত সম্ভব শেষ করার জন্য প্রচুর চাপ রয়েছে। তা সম্ভব হবে কি না দেখতে হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: