ফাইল ছবি
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ‘মূল ইস্যুগুলো’ নিয়ে আলোচনা করার আশা করছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
সোমবার এ কথা বলেছেন জেলেনস্কি।
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে রাশিয়ার হামলা বন্ধের প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত হওয়ার এবং ট্রাম্পের দূত মস্কোর উদ্দেশে রওনা দেওয়ার এই সময়ে এ আশাবাদ জানিয়েছেন জেলেনস্কি।
ইউক্রেনের আলোচক রুস্তেম উমেরভ বলেছেন, ট্রাম্পের যুদ্ধ সমাপ্তির পরিকল্পনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুই দিনের আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। যদিও কিছু চ্যালেঞ্জিং বিষয়ে এখনো কাজ বাকি রয়েছে।
মঙ্গলবার মস্কোতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফের সাক্ষাতের কথা রয়েছে, যেটি সংঘাত বন্ধে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার সর্বশেষ ঘটনা।
প্যারিসে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর সঙ্গে সাক্ষাতের পর জেলেনস্কি ওয়াশিংটনের মহাপরিকল্পনা সম্পর্কে ইউরোপীয় মিত্রদের মতামত তুলে ধরেন। কিয়েভ বা ইউরোপের কোনো মতামত ছাড়াই এটি তৈরি করা হয়েছিল এবং মস্কোর সর্বোচ্চ দাবির প্রতিফলন বিবেচনায় সমালোচিতও হয়েছে।
রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরুর সাড়ে তিন বছর পর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার (আইএসডব্লিউ)-এর তথ্য এএফপি’র বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত মাসে রুশ সেনাবাহিনী ২০২৪ সালের নভেম্বরের পর থেকে ইউক্রেনে তাদের সবচেয়ে বড় অগ্রগতি অর্জন করেছে।
এদিকে, জেলেনস্কির ঘনিষ্ঠ মহলে দুর্নীতি কেলেঙ্কারি এ পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলেছে। গত সপ্তাহে তার প্রধান আলোচক ও চিফ অব স্টাফ আন্দ্রি ইয়ারমাককে বরখাস্ত করা হয়।
জেলেনস্কি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং বিষয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করছি।
তিনি আরো জানান, ইউক্রেনীয়দের মনোবল ভেঙে দিতে তার দেশের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা বৃদ্ধি করেছে রাশিয়া।
জেলেনস্কি বলেন, এটি আমাদের জনগণের ওপর শুধু মানসিক নয়, শারীরিকভাবেও গুরুতর চাপ সৃষ্টি করছে।
অন্যদিকে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ বলেন, বর্তমান মুহূর্তটি ইউক্রেনে শান্তির ভবিষ্যৎ এবং ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য ‘নির্ণায়ক’ হতে পারে।
গত রবিবার ফ্লোরিডায় যুক্তরাষ্ট্রের ও ইউক্রেনীয় আলোচকরা ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে অংশ নেন, যে আলোচনাকে উভয় পক্ষই ‘ফলপ্রসূ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। এদিকে ট্রাম্প এয়ার ফোর্স ওয়ান থেকে সাংবাদিকদের বলেন, ‘একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর ভালো সম্ভাবনা রয়েছে।’
জেলেনস্কি জোর দিয়ে বলেন, রাশিয়াকে এমন কোনো ছাড় দেওয়া উচিত নয়, যা তারা ‘এই যুদ্ধের পুরস্কার’ হিসেবে বিবেচনা করতে পারে।
উইটকফ এর আগে ফ্লোরিডায় ইউক্রেনের নিরাপত্তা পরিষদের সচিব উমেরভের সঙ্গে এক বৈঠক করেন।
উমেরভ বলেন, ‘আমরা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করতে পেরেছি, যদিও কিছু বিষয়ের আরো পরিমার্জন প্রয়োজন।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: