ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েলি বাহিনী ভোররাতে হামলা চালিয়েছে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের বিভিন্ন এলাকায়। দখলদার বাহিনীর নতুন অভিযান ও হামলায় সিরিয়ায় দুই শিশুসহ অন্তত ১৩ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন। এসময় ২৫ জন আহত হয়েছেন। একইসঙ্গে সংঘর্ষে কয়েকজন ইসরায়েলি সেনাও আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) আল জাজিরাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, ভোরের দিকে ইসরায়েলের হামলা ও স্থল অভিযানে বেইত জিন শহর থেকে বহু পরিবার নিরাপদ স্থানে পালিয়ে গেছে।
সিরিয়ান আরব নিউজ এজেন্সি (সানা) জানিয়েছে, নিহত দুই শিশুসহ অন্তত পাঁচজনের লাশ কুনেইত্রার আল-সালাম শহরের গোলান ন্যাশনাল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। খবরে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলি ড্রোন এখনও ওই এলাকায় উড়তে দেখা যাচ্ছে।
সিরিয়ান সিভিল ডিফেন্স জানায়, ইসরায়েলি বাহিনী যেকোনো নড়াচড়া লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে বলে তারা বেইত জিনে প্রবেশ করে আহতদের উদ্ধার করতে পারছে না। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দক্ষিণ সিরিয়ায় দখলদারিত্ব বিস্তারের মধ্যে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক অভিযানগুলো আরও ঘনঘন ও সহিংস হয়ে উঠেছে। স্থানীয় সূত্রগুলো আল জাজিরাকে নিশ্চিত করেছে যে, বেইত জিনে ইসরায়েলের আর্টিলারি ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত ও অনেকেই আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি বাহিনী শহরে প্রবেশ করলে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে সংঘর্ষও হয়।
সম্প্রতি ওই অঞ্চল থেকে রিপোর্ট করেছেন আল জাজিরার প্রতিবেদক ওসামা বিন জাভিদ। তিনি বলেন, সর্বশেষ হামলায় নিহতদের বেশিরভাগই সাধারণ মানুষ। তিনি জানান, “সেখানকার মানুষ বলছে ওই এলাকায় হিজবুল্লাহ বা কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠীর উপস্থিতি নেই। তারা কেবল কৃষক ও রাখাল, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধে জড়িত নয়। তাই এ হামলা তাদের কাছে হঠাৎ ও অপ্রত্যাশিত ছিল।”
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানায়, হামলায় তাদের ছয়জন সৈন্য আহত হয়েছে, তিনজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের দাবি, অভিযানটি সম্পন্ন হয়েছে এবং সব সন্দেহভাজনকে হয় গ্রেপ্তার করা হয়েছে, না হয় ‘নিষ্ক্রিয়’ করা হয়েছে। তবে তারা এলাকায় অবস্থান করছে এবং ‘ইসরায়েলের জন্য যেকোনো হুমকির’ বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাবে।
ইসরায়েলি পত্রিকা ইয়েদিওথ আহরোনোথ জানিয়েছে, বেইত জিনে প্রবেশ করা একটি ইসরায়েলি দলকে ঘিরে ফেলা হয়েছিল। তাদের উদ্ধার ও প্রত্যাহার নিশ্চিত করতে আকাশপথে ও স্থলে অভিযান চালানো হয়। এতে নিহত ও আহত হয় বহু সিরিয়ান
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: