ছবি : সংগৃহীত
রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রস্তাবের খসড়া নিয়ে দেশগুলোর প্রতিনিধিরা বৈঠক করেছেন। আলোচনায় বেশ অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন ও কিয়েভ। সম্ভাব্য চুক্তিতে তারা ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব অটুট রাখার ওপর জোর দিয়েছেন।
রোববার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ওই বৈঠক হয়। এতে ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় কর্মকর্তারা অংশ নেন। পরে যৌথ বিবৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন। বৈঠকের আগে প্রস্তাবের খসড়াটিতে রাশিয়া বেশি সুবিধা পাবে বলে সমালোচনা শুরু হয়েছিল। পরে আলোচকরা একটি ‘হালনাগাদ ও পরিমার্জিত শান্তি রূপরেখা’র খসড়া তৈরি করেন।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনকে ২৭ নভেম্বরের মধ্যে পরিকল্পনাটি মেনে নিতে আল্টিমেটাম দিয়েছেন। কিন্তু কিয়েভ শুরু থেকে খসড়াটির পরিবর্তন চাইছিল। তাদের দাবি, ২৮ দফার পরিকল্পনায় রাশিয়ার একাধিক কঠোর দাবি মেনে নিতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে আছে, ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়া, সেনাবাহিনী কমানো এবং কখনোই ন্যাটোতে যোগ না দেওয়া।
রোববারের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে বেশ গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। স্থায়ী শান্তি অর্জনে উভয়পক্ষ তাদের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেছে। তবে যেকোনো ভবিষ্যৎ চুক্তিতে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব পুরোপুরি বজায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
হোয়াইট হাউস আলাদা এক বিবৃতিতে আলোচনার ‘অর্থবহ অগ্রগতি’র কথা উল্লেখ করেছে। তবে এর মধ্যেই হামলা চালায় রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতি প্রকাশের সময়ই ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের শহর খারকিভে চারজন নিহত হয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বৈঠক শেষে বলেন, আলোচনায় চমৎকার অগ্রগতি হয়েছে। ভালো অগ্রগতির কথা বলেছেন, ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের প্রধান আন্দ্রি ইয়ারমাকও। এই দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খসড়া পরিকল্পনার নতুন সংস্করণে ইউক্রেনের বেশিরভাগ মূল অগ্রাধিকার প্রতিফলিত হয়েছে।
মার্কো রুবিও বলেন, যেসব জায়গায় মতপার্থক্য ছিল সেগুলো কমে আসছে। যেগুলো এখনো অমীমাংসিত সেগুলোও এক সময় মীমাংসা হতে পারে। বিশ্বাস করি, আমরা সমঝোতায় পৌঁছাতে পারব। এর আগে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কাজ বাকি আছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: