নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন একজন ডিজে হিসেবে। অন্যকে গান শুনিয়েই মজা পেতেন। কিন্তু হঠাৎ করেই সেই ব্যক্তির কীর্তি সকলকে চমকে দেয়। দেশের মধ্যেই নিজেই আরও একটি দেশ গড়ে ফেললেন তিনি। আর সেই দেশে নিজেই ‘সুলতান’ হিসেবে সিংহাসনে বসলেন।
এমন কাণ্ড ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানকার সান দিয়েগো নামে এক মরু অঞ্চলে একটি দেশ গড়েন উইলিয়াম। শুধু তাই নয়, সেই দেশে নিজের মনের মতো শাসন জারি করেন তিনি।
উইলিয়াম নিজের দেশের নাম দিয়েছেন, ‘দ্য ইউনাইটেড টেরিটোরিজ অফ দ্য সভারেইন নেশন অফ দ্য পিপলস রিপাবলিক অফ স্লোজামাস্তান’। একদা ডিজে উইলিয়াম এখন ‘স্লোজামাস্তানের সুলতান’। এই দেশের অঙ্গ রাজ্যের সংখ্যা ১২। ৫০০ জন বাসিন্দা আছেন ‘সুলতান’ এর দেশে।
খোলা মরুভূমি, তার মাঝেই গড়ে উঠেছে ছোট্ট একটা দেশ। গোটা দেশে শাসনকার্য পরিচালনা হয় উইলিয়ামের বাসভবন থেকে। সেটাই উইলিয়ামের বাড়ি, অফিস ও দেশের একমাত্র সরকারি দফতর। সেখান থেকেই দেশবাসীর দেখভাল করেন ‘সুলতান’।
কিন্তু উইলিয়াম থেকে সুলতান হওয়ার রাস্তা খুব সহজ ছিল না। ডিজে হিসেবে যে টাকা উপার্জন করেছেন তিনি, সেখান থেকেই অল্প অল্প করে জমানো শুরু করেন। সেই টাকা দিয়েই ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগো মরুভূমির ১১ একর জমি কেনেন উইলিয়াম।
২০২১ সালের অক্টোবর মাসে ১৯ হাজার ডলারের বিনিময়ে জমি কেনেন। তারপর সেই জমির মধ্যেই নিজের দেশ গড়ে তোলেন।
দেশের সীমানা নিজের হাতেই এঁকে দিয়েছেন ‘সুলতান’। ২৪ ঘণ্টা ওই সীমান্তে পাহারা দিচ্ছেন উইলিয়ামের তৈরি সেনা বাহিনী। সে বাহিনীর পোশাকি নাম ‘পেট্রল এজেন্ট’। এই বাহিনীর মাথায় রয়েছেন মার্ক। এছাড়াও ওই দেশে আরও একটি নিরাপত্তা বাহিনী রয়েছে।
উইলিয়ামের কথায়, দেশে সবসময় শান্তি বজায় রাখতে হবে। একটা দেশ হতে গেলে যা প্রয়োজন সবই আছে তার দেশে, এমনই দাবি করেছেন তিনি। দেশবাসীর চিকিৎসার জন্য রেসকিউ রিক নামে সেবাকেন্দ্রও রয়েছে। এই দেশের সরকারি ভাষা ইংরেজি। তবে পর্তুগিজ ও স্প্যানিশ ভাষাতেও কথা বলে ওখানকার লোকজন।
এই দেশের নিজস্ব পাসপোর্ট রয়েছে। মুদ্রার নাম ডুবল। যদিও রাষ্ট্রসংঘের স্বীকৃতি মেলেনি। তাতে কী? নিজের দেশে নিজেই রাজা হয়ে উইলিয়াম আছেন মহা আনন্দে।
সূত্র: দ্য ওয়াল
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: