চীনে ভেজে বিক্রি করা হচ্ছে নুড়ি পাথর। মূলত পাথরের সাথে মজাদার মশলা মিশিয়ে ভাজি করে এটি তৈরি করা হয়। দেশটির অন্যতম ঐতিহ্যবাহী এক খাবার হিসেবে পরিচিত এটি। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা সিএনএন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নুড়ি পাথরগুলোর ভাজার পর তা চুষে এর ভেতরকার মশলাদার স্বাদটি উপভোগ করা হয়। এরপর ঠিক চুইংগামের মতো পাথরটিকে ফেলে দেওয়া হয়।
নুড়ি পাথরের খাবারটি আঞ্চলিকভাবে “সুওডিউ” নামে পরিচিত, যার অর্থ “চোষা ও ফেলে দেওয়া”। মূলত এটি চীনের হুবেই প্রদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার।
সম্প্রতি চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই পাথর ভাজা নামক খাবারের কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওতে দেখা যায়, রাঁধুনি নুড়ি পাথর ফ্রাই প্যানে নিয়ে তাতে মরিচ তেল ঢেলে দেন। পরবর্তী ধাপে পাথরগুলোর ওপর রসুনের সস ছিটিয়ে দেওয়া হয়। তারপর এতে রসুনের লবঙ্গ এবং কুচি করা মরিচ মিশিয়ে ভাজতে থাকেন।
ভিডিওতে রাঁধুনিকে খাবারটি তৈরির সময় খুব সুন্দরভাবে প্রতিটি ধাপের বর্ণনা দিতে দেখা যায়। তারপর ঐতিহ্যবাহী খাবারটি হাতের তালুর সমান একটি বক্সে ক্রেতার নিকট পরিবেশন করা হয়।
এক রাঁধুনি জানান, ওই অঞ্চলে খাবারটি অনেকটা অ্যালকোহলের মতোই জনপ্রিয়। এক বক্স ভাজা নুড়ি পাথরের দাম প্রায় ২.৩০ ইউএস ডলার।
এক ভিডিওতে দেখা যায়, একজন ক্রেতা জিজ্ঞেস করছেন, “খাবারটি শেষ করার পর আমাকে কি পাথরগুলো ফেরত দিয়ে দিতে হবে?”
জবাবে রাঁধুনি বলেন, “স্মৃতি হিসেবে আপনি পাথরগুলো বাড়িতে নিয়ে যান।”
তথ্য বলছে, কয়েকশ বছর আগে দেশটির হুবেই প্রদেশের তুজিয়া সম্প্রদায়ের মাঝিদের মাঝে খাবারটির প্রচলন ছিল। তারা নৌকাতে করে খাবার স্থানান্তর করতে যেয়ে প্রায়শই দীর্ঘ যাত্রাপথে খাবারের সংকটের মুখোমুখি হতো। তখনই তারা নদীতে থাকা পাথর সংগ্রহ করতেন। পরে সেগুলোকে মশলার সাথে মিশিয়ে নামমাত্র খাবার তৈরি করতেন।
যদিও আধুনিকতার কারণে পাথর ভাজা খাবারের এই রীতি অনেকটা হারিয়ে গিয়েছে। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে এটি আবারও দেশ বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
https://www.youtube.com/watch?v=rTfoEfq9rWg
সূত্র : সিএনএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: