ইকুয়েডরে এক মৃত নারী হঠাৎ শ্বাস নেওয়া শুরু করে। চিকিৎসকরা জানান, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে মারা গেছেন তিনি। মৃত্যুর পর চলছিল অন্তেষ্টিক্রিয়া। সমাধিস্থ করার মাত্র কিছুক্ষণ আগে হঠাৎ শোকার্ত স্বজনরা দেখতে পান, ওই নারী শ্বাস নিচ্ছেন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে কফিন থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
আশ্চর্য্যজনক হলেও ৯ জুন, গত শুক্রবার লাতিন আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে এমনই এক ঘটনা ঘটেছে। ১৩ জুন, মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সমাধিস্থ করার আগে শোকার্ত স্বজনেরা ওই নারীর কাপড় বদলে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। হঠাৎ তাঁরা দেখেন কফিনে শুয়ে ওই নারী জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছেন। কফিনের ঢাকনা খোলা থাকলেও পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাবে তিনি হাঁপাচ্ছিলেন। বেলা মনতোয়া নামের ওই নারীর বয়স ৭৬ বছর। তাকে এখন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে ইকুয়েডরে। এ বিষয়ে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ওই নারীর কার্ডিওরেসপিরেটরি অ্যারেস্ট হয়েছিল। এর অর্থ হলো তাঁর হৃদ্যন্ত্রের কার্যকারিতা একেবারে কমে গিয়েছিল। তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন না। এ কারণে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ইকুয়েডরের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঘটনা তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছেন।
এ বিষয়ে ওই নারীর ছেলে গিলবার রডোল্ফ বালবার স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, তার মাকে সকালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুপুরের দিকে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর মনতোয়াকে বেশ কয়েক ঘণ্টার জন্য কফিনে রাখা হয়।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, খোলা একটি কফিনে মনতোয়া শুয়ে আছেন। তিনি জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছেন। তার চারপাশে অনেক মানুষের ভিড় জমেছে।প্যারামেডিক এসে মনতোয়াকে পর্যবেক্ষণ করেন। এরপর তাঁকে স্ট্রেচারে করে অ্যাম্বুলেন্সে নেওয়া হয়।তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ওই একই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেছিলেন।
মনতোয়ার ছেলে বালবার এএফপিকে বলেন, আমি একটু একটু করে বুঝতে পারছি ঠিক কী ঘটেছিল। এখন শুধু মায়ের জন্য প্রার্থনা করছেন বলে জানান তিনি। তিনি মাকে পাশে চান বলেও জানান।
সূত্র : বিবিসি নিউজ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: