তুরস্কের একটি আদালত প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের ভাষণ বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগে ৯ বিক্ষোভকারীকে বিচারাধীন অবস্থায় কারাগারে পাঠিয়েছে। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেছিলেন, ইসরায়েলে তেল রফতানি বন্ধ করার কথা প্রচার করলেও এরদোয়ানের সরকার তা অব্যাহত রেখেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছিল ইস্তাম্বুলে শুক্রবারের একটি টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ফোরামে। সেখানে বিক্ষোভকারীরা তুরস্কের সরকারের ফিলিস্তিনপন্থি অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলে স্লোগান দেন, যেমন— গাজায় বোমা পাঠাচ্ছে জাহাজগুলো এবং গণহত্যার জন্য জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করো।
এরদোয়ান কড়া ভাষায় জবাব দিয়ে বলেন, বৎস, এখানে জায়নবাদীদের মুখপাত্র হতে এসো না। তুমি তাদের কণ্ঠস্বর হয়ে যতই উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করো না কেন, সফল হবে না।
তিনি আরও বলেছেন, বিশ্বের জায়নবাদীরা খুব ভালো করেই জানে এরদোয়ানের অবস্থান কোথায়। তবে মনে হচ্ছে, তুমি এখনও তা বোঝোনি।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে নেয়। তাদের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্টকে অপমান ও বেআইনি বিক্ষোভে অংশগ্রহণের অভিযোগ আনা হয়।
ইস্তাম্বুলের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটরের কার্যালয় জানিয়েছে, ওই দলটি ভেন্যুর ভেতরে ও বাইরে সমন্বিতভাবে এই বিক্ষোভ চালিয়েছে। তাই তাদের বিচারাধীন অবস্থায় আটক রাখার আবেদন জানানো হয়।
এই গ্রেফতার নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন বিরোধীদলীয় রাজনীতিবিদ ও মানবাধিকার কর্মীরা। প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) নেতা ওজগুর ওজেল বলেন, তুরস্কের গণতন্ত্র আজ যে গভীর সংকটে পড়েছে, তা ৯ তরুণকে গ্রেফতারের ঘটনায় প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই তরুণরা তাদের মত প্রকাশের অধিকার প্রয়োগ করছিল। তাদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া উচিত।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: