নারীরা এক অপরের মধ্যে কথা বলতে পারবে না এমন প্রতিবেদন প্রকাশের পর তার প্রতিবাদ জানিয়েছে আফগান সরকারের নৈতিক মন্ত্রণালয়। বার্তা সংস্থা এএফপিকে ৯ নভেম্বর শনিবার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তালেবান সরকার নারীদের ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো বিধি নিষেধ আরোপ করেনি। কতিপয় মিডিয়ায় এ নিয়ে যে খবর প্রকাশ হয়েছে তাকে ভুয়া বলেছে আফগান সরকার। খবর জিও নিউজ
আফগানিস্তানের বাইরে থেকে পরিচালিত কিছু মিডিয়া এবং আন্তর্জাতিক কিছু সংবাদমাধ্যমে সাম্প্রতিক সপ্তাহে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যেখানে বলা হয়েছে, নারীদের মধ্যে একে অপরের সঙ্গে কথোপকথনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। মূলত আফগানিস্তানে ইসলামী শরীয়াহ বাস্তবায়নকারী মন্ত্রণালয় প্রধান মুহাম্মাদ খালিদ হানাফির একটি অডিও রেকডিং এর ওপর ভিত্তি করে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইফুল ইসলাম খাইবার বলেন, প্রতিবেদনটি ছিল সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং বিবেচনাহীন। তিনি বলেন, নারীরা অবশ্যই অন্য নারীদের সঙ্গে কথা বলতে পারবে। কারণ তাদের একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগের প্রয়োজন রয়েছে।
তবে তিন এও বলেন, একটি সম্প্রদায় মনে করেন, ইসলামিক আইন অনুযায়ী নামাজের সময় নারীদের মধ্যে কথপোকথনের মাধ্যমে যোগাযোগ না করে বরং ইশারা ইঙ্গিতে কথা বলা উচিত।
আফগানিস্তানে কিছু প্রদেশে টেলিভিশন এবং রেডিওতে নারীদের কণ্ঠ ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া বাড়ির বাইরে থাকাকালীন নারীদের উচ্চস্বরে কথা বলার ক্ষেত্রেও বিধি নিষেধ রয়েছে।
২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর তালেবান সরকার ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী বেশ কিছু আইন জারি করেন। যার মধ্যে রয়েছে নারীদের মাধ্যমিক শিক্ষা বাতিল এবং জনসম্মুখে নারীদের কাজের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: