আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে কোটি কোটি মানুষ বিগত কয়েক দশকের মধ্যে ভয়াবহতম খাদ্য সংকটের মোকাবিলা করছে। ১৫ অক্টোবর, মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম বা ডব্লিউএফপি) এই কথা বলেছে। তহবিল ঘাটতির কারণে তাদের ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করার ক্ষমতা সীমিত হওয়া নিয়েও উদ্বেগে আছে সংস্থাটি। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর দিয়েছে।
জাতিসংঘের এই সংস্থাটি বলেছে, আফ্রিকায় মারাত্মক খরা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এরমধ্যে রেকর্ড পাঁচটি দেশ- লেসোথো, মালাউয়ি, নামিবিয়া, জাম্বিয়া ও জিম্বাবুয়ে ‘বিপর্যয়কর অবস্থা’ (স্টেট অব ডিজাস্টার) ঘোষণা করেছে। তারা আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া, অ্যাঙ্গোলা ও মোজাম্বিকও ভয়াবহভাবে আক্রান্ত। সেখানে প্রায় ২কোটি ১০ লাখ শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে।
ডব্লিউএফপি মুখপাত্র টমসন ফিরি, জেনেভাতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘যদি আমরা বাড়তি সহায়তার ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হই, তবে কোটি কোটি মানুষ বিগত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হবে।’
আপাতত খাদ্য সহায়তা প্রদানের পরিকল্পনা করছে সংস্থাটি। আর কিছু ক্ষেত্রে সরাসরি অর্থ সহায়তা দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনাধীন রয়েছে। যেমন পরবর্তী মার্চে ফসল ওঠার আগ পর্যন্ত মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত সাত দেশের প্রায় ৬৫ লাখ মানুষ অর্থ সহায়তা পেতে পারেন।
সংস্থাটি জানিয়েছে, তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রায় ৩৬ কোটি ৯০ লাখ ইইএস ডলার প্রয়োজন। কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত এর মাত্র এক-পঞ্চমাংশ অর্থ বরাদ্দ পেয়েছে।
ফিরি বলেছেন, ‘ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। অসংখ্য গবাদিপশু মারা গেছে। অবস্থা এতোটাই সংকটাপন্ন যে, দিনে একবেলা খেতে পেলে সেই শিশু ভাগ্যবান। পরিস্থিতি যথেষ্ট ভয়াবহ। পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা এতোটা স্পষ্টভাবে আগে দেখা যায়নি।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: