যুদ্ধ কৌশলে বড় পরিবর্তন এনেছে হিজবুল্লাহ

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১১ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:০৮

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

ইসরায়েলের হামলায় শীর্ষ নেতাদের হারিয়ে হিজবুল্লাহ দক্ষিণ লেবাননে দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ ছাড়া নতুন সামরিক কমান্ড গঠন করেছে। নতুন এই সামরিক কমান্ড দিয়েই ইসরায়েলে রকেট হামলা ও স্থল যুদ্ধের নির্দেশনা দিচ্ছে ইরানপন্থী প্রতিরোধ যোদ্ধাদলটি। হিজবুল্লাহর কার্যক্রমের সঙ্গে পরিচিত দুটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এসব তথ্য জানিয়েছে।

তিন সপ্তাহের ধ্বংসাত্মক ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর সামরিক সক্ষমতা ব্যাপক হ্রাস পেয়েছে। বিশেষ করে তাদের সবচেয়ে বড় ক্ষতি হলো হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহর মৃত্যুর ঘটনা। এখন শত্রু-মিত্র সবাই তাকিয়ে দেখছে লেবাননে ঢোকা ইসরায়েলি সেনাদের ঠিক কতটা ঠেকাতে পারে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা।

ইরান সমর্থিত এই গোষ্ঠীর কাছে এখনো অস্ত্রের যথেষ্ট মজুত রয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী নির্ভুল ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যা এটি এখনো ব্যবহার করেনি। হিজবুল্লাহর কার্যক্রমের সঙ্গে পরিচিত চারটি সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে। যদিও ইসরায়েলের দাবি, মুহুর্মুহু বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর অস্ত্রাগার মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর নাসরুল্লার নিহত হওয়ার প্রথম কয়েকদিন হিজবুল্লাহর কমান্ড কার্যক্রম ব্যাহত হয়। তবে ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই নতুন কমান্ড তৈরি করে ফেলে শিয়া যোদ্ধারা। তারা নতুন একটি অপারেশন রুম তৈরি করেছে বলে জানিয়েছে দুটি সূত্র। তাদের একজন হিজবুল্লাহর ফিল্ড কমান্ডার এবং অন্যজন এই গ্রুপের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র।

ইসরায়েলি আক্রমণ সত্ত্বেও নতুন কমান্ড সেন্টার কাজ করে চলেছে। এর মানে হলো দক্ষিণের যোদ্ধারা রকেট ছুড়তে এবং কেন্দ্রীয়ভাবে জারি করা আদেশ অনুসারে লড়াই করতে পারছে।

হিজবুল্লাহর ঘনিষ্ঠ একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেছেন, গোষ্ঠীটি এখন হামলার যুদ্ধ চালাচ্ছে। অনেকটা গেরিলা হামলার মতো।

ইসরায়েলি চিন্তক প্রতিষ্ঠান আলমারের বিশ্লেষক আব্রাহাম লেভিন বলেছেন, এটা ধরে নেয়া উচিত যে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলি সেনাদের জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত এবং অপেক্ষা করছে। এখন তাদের টার্গেট করা সহজ হবে না।

তিনি বলেন, আমরা সবাই জানি হিজবুল্লাহ একই শক্তিশালী বাহিনী হিসেবে রয়ে গেছে। তাদের চেইন অব কমান্ড ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তা ইসরায়েলি সম্প্রদায়কে গুলি করার বা আঘাত করার চেষ্টার ক্ষমতা কেড়ে নিতে পারেনি।

এ প্রতিবেদনের বিষয়ে প্রশ্ন করা করা হলে সাড়া দেয়নি হিজবুল্লাহর মিডিয়া অফিস। এ ছাড়া লেবাননের পরিস্থিতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) রয়টার্সকে তাদের আগের বিবৃতি দেখতে বলেছে।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: