আল-কায়দার প্রয়াত প্রধান ওসামা বিন লাদেনের ছেলে ওমর বিন লাদেনকে ফ্রান্স থেকে বের করে দিয়েছে দেশটির সরকার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বিয়ে বার্ষিকী উপলক্ষে এক পোস্টের জেরে তাকে বের করে দিয়েছে ফরাসি সরকার।৮ অক্টোবর মঙ্গলবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এএফপি’র প্রতিবেদন অনুসারে, ৪৩ বছর বয়সি ওমর বিন লাদেনের জন্ম সৌদি আরবে। তার শৈশবকাল কেটেছে সেখানেই। এরপর তিনি সুদান ও আফগানিস্তানে ছিলেন। ১৯ বছর বয়সে বাবা ওসামা বিন লাদেনকে ছেড়ে যান তিনি। ছবি আঁকার জন্য তিনি ২০১৬ সাল থেকে উত্তর ফ্রান্সের নরম্যান্ডি এলাকায় বসবাস শুরু করেন।
ফ্রান্সের নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রিটেইললিউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে বলেন, ওমর বিন লাদেন একজন ব্রিটিশ নাগরিকের স্বামী হিসেবে নরম্যান্ডিতে বসবাস করে আসছেন।
গত বছর সন্ত্রাস বাদের পক্ষে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দেন। সেই পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ফ্রান্স ছাড়ার আদেশ জারি করেছেন নরম্যান্ডির প্রশাসনিক প্রধান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বুনো রিটেইললিউ আরও জানান, আদেশে বলা হয়েছে, ওমর যেন কোনোভাবেই ফ্রান্সে ফিরতে না পারেন। সেই আদেশে তিনি সই করেছেন। তবে এ ব্যাপারে তিনি বিস্তারিত আর কিছু বলেননি। ওমর বিন লাদেন এরই মধ্যে ফ্রান্স ছেড়েছেন কিনা, তা এখনও পরিষ্কার নয়।
ওমর বিন লাদেন তার চেয়ে অন্তত ২০ বছরের বড় ব্রিটিশ নারী জেন ফেলিক্স ব্রাউনিকে বিয়ে করেন। ২০০৭ সালে বিষয়টি সামনে এলে তাকে নিয়ে গণমাধ্যমে ঝড় ওঠে।
বিয়ের পর জেন তার নাম পাল্টে মুসলিম নাম জেইনা মোহাম্মেদ রাখেন। বিয়ের সুবাদে ওমর যুক্তরাজ্যে বসবাস করতে চাইলেও দেশটি তার আবেদন বাতিল করে দেয়।
নাইন ইলেভেনের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’র নামে আফগানিস্তানে সামারিক আগ্রাসন চালায় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। সেই সময়ের দেশটির ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারকে উৎখাত করে যুক্তরাষ্ট্র। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে পাকিস্তানে আত্মগোপনে থাকাবস্থায় ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করা হয় বলে দাবি করে আমেরিকান বাহিনী।
সূত্র : বিবিসি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: