অস্ট্রেলিয়ার পার্থ থেকে সিডনি যাওয়ার পথে মাঝ আকাশে ফ্লাইটে `দুর্ব্যবহার' করেছিলেন এক যাত্রী। তার এই অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের কারণে গন্তব্যের পরিবর্তে পার্থ শহরে ফিরে যেতে বাধ্য হয় ফ্লাইটটি।পরে অবশ্য এ আচরণের মাশুল হিসেবে ওই যাত্রীকে গুনতে হয়েছে ১১ হাজার ৮৬১ ইউএস ডলার, যা কি না এ রুটের বিমান ভাড়ার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি।
ফ্লাইটটি নিরাপদে অবতরণ করানোর জন্য পাইলটকে নির্দিষ্ট পরিমাণ জ্বালানি ফেলে দিতে হয়েছিল। এ কারণে ওই যাত্রীকে জ্বালানির খরচ হিসেবে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনকে আট হাজার ৬৩০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার (পাঁচ হাজার ৮০৬ ডলার) দিতে বলা হয়েছে।
সেইসঙ্গে ওই যাত্রীকে ছয় হাজার ৫৫ ডলার জরিমানা করেছে পার্থ ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট। সে হিসেবে মাঝ আকাশে দুব্যর্বহারের মাশুল হিসেবে ওই যাত্রীকে মোট ১১ হাজার ৮৬১ ডলার গুনতে হচ্ছে। যা এই রুটের টিকিটের মূল্যের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি।
অস্ট্রেলিয়া ফেডারেল পুলিশের তথ্যমতে, ঘটনার সময় ওই যাত্রীর বয়স ছিল ৩২ বছর। তার আচরণের কারণে ফ্লাইটটি গন্তব্যে না গিয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। আর নিরাপদে অবতরণের জন্য পাইলটকে কিছু পরিমাণ জ্বালানি ফেলে দিতে হয়েছিল।
ঘটনাটি গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বরের হলেও অস্ট্রেলিয়ার আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে বিষয়টি সুরাহা হতে বছর খানেক সময় লেগে যায়। ওই যাত্রী ফ্লাইটে তার উশৃঙ্খল আচরণ ও নিরাপত্তা নির্দেশনাগুলো মেনে না চলার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
তবে ওই যাত্রীর নাম কিংবা এয়ারলাইনের নাম প্রকাশ করা হয়নি, এমনকি তিনি ঠিক কি করেছিলেন সেটিও স্পষ্ট করে বলা হয়নি। কেবল এটুকুই বলা হয়েছে যে ওই নারী অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের বাসিন্দা।
অস্ট্রেলিয়া ফেডারেল পুলিশের সুপারিনটেনডেন্ট সোনা ডেভিস এক বিবৃতিতে বলেন, 'ঘটনাটি সবার জন্যই একটি সতর্কবার্তা হতে পারে যে কেউ বিমানে অপরাধমূলক কাজ করলে অপরাধীকে গুরুতর পরিণতির মুখোমুখি হওয়া লাগতে পারে।'
উল্লেখ্য, জ্বালানির খরচ ফেরত দিতে জরিমানার বিষয়টি সচরাচর দেখা যায় না।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: