কেনিয়ার অন্য সব ক্যাফে থেকে ভিন্ন রাজধানী নাইরোবির আয়রা-স নিউরো সোল ক্যাফেটি। ক্যাফেতে স্নায়বিক দুর্বলতার শিকার ব্যক্তিদের কাজের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এই ক্যাফেটি প্রতিষ্ঠা অটিজমের শিকার এক শিশুর মা। সচেতনতা বাড়ানো এবং এ ধরনের ব্যাধি সম্পর্কে প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণা দূর করতেই তার এই উদ্যোগ। অটিজম, ডিসলেক্সিয়া, সেরিব্রাল পলসির মতো স্নায়বিক রোগে আক্রান্তদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে এই ক্যাফেতে।
এখানকার কর্মী, তাদের পরিবারের সদস্য ও গ্রাহকেরা নিজেদের নানা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। স্নায়বিক রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে কর্মশালারও আয়োজন করা হয় এখানে।
আয়রাস নিউরো সোল ক্যাফেের কর্মী সিমন নজুকি বলেন, স্বাভাবিক মানুষের মতো আমরা সবার সঙ্গে মিশতে পারি না তাই সহজে চাকরি পাই না। এখানে আমাদের কাজের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে সামনে এগিয়ে যেতে পারছি।
এর প্রতিষ্ঠাতা ডায়না আয়ো জানান, তার ৬ বছর বয়সী মেয়ে আয়রার নামে ক্যাফেটির নামকরণ। শিশুটি অটিজমের পাশাপাশি প্রিমরোজ সিনড্রোম নামের স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত। এ ধরনের রোগীদের সামাজিক দক্ষতা বাড়ানোর জন্য এই ক্যাফে প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি।
আয়রাস নিউরো সোল ক্যাফে প্রতিষ্ঠাতা ডায়না আয়ো বলেন, অনেক বাবা-মা চায় আমি যেন তাদের সন্তানদের চাকরি দেই। কিন্তু আমার এতো জনকে বেতন দেয়ার সামর্থ্য নেই। এখানে কর্মরতদের কেউ স্বেচ্ছাসেবী,কয়েকজনকে শুধু খাবার দেয়া হয়, আবার কেউ বিনামূল্যে কাজ করে।
আয়োর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মস্তিষ্কের রোগে আক্রান্তদের সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা দূর করতে এটি সহায়ক হবে।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ লুসি নজিরু বলেন, তাদের সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা থাকায়, মানসিক বিকাশের জন্য এই রোগীদের যে সহায়তা প্রয়োজন সমাজে তা পাওয়া যায় না। তাদের অনেকেই আত্মবিশ্বাসের অভাব, বিষণ্নতা ও আত্মহত্যা প্রবণতায় ভোগে।
দিন দিন এই ক্যাফের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। নাইরোবি ছাড়াও কেনিয়ার বিভিন্ন শহরের বাসিন্দারা এখানে আসছেন।
সূত্র : আফ্রিকা নিউজ ডোট
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: