ইনার মঙ্গোলিয়ায় জনপ্রিয় হচ্ছে মহাকাশ থিমের পর্যটন কেন্দ্র

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৮ আগস্ট ২০২৪ ২১:৪১

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

রুক্ষ্ম পাথুরে ও উঁচু টিলা। সেই সঙ্গে আছে রোভারের মতো দেখতে কিছু যান। দেখলে মনে হবে এ যেন ঠিক মঙ্গল গ্রহ! চীনের ইনার মঙ্গোলিয়ার এ স্থানগুলোর ওপর ভিত্তি করে গড়ে তোলা হয়েছে নতুন এক পর্যটন। যেখানে বেড়াতে গেলে কারও বা পূরণ হবে মহাকাশচারী হওয়ার স্বপ্ন, আবার কেউ বা পাবেন ভিনগ্রহে ঘুরে বেড়ানোর স্বাদ।

চীনের উত্তরাঞ্চলের কানসু ও ইনার মঙ্গোলিয়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মহাকাশ থিমের পর্যটন। মহাকাশ যারা পছন্দ করেন, তাদের আরও উৎসাহ যোগাতে এখানে মহাকাশ ও ভিনগ্রহে অভিযানের থিমে আছে বিভিন্ন আয়োজন। মহাকাশ অভিযানে অংশ নেওয়ার স্বপ্ন পূরণের অনন্য সুযোগও পাচ্ছেন অতিথিরা।

গোবি মরুভূমির জন্য পরিচিত কানসুর চিনছাং সিটি এটি। দেখতে যা প্রায় মঙ্গল গ্রহের মতোই। আর এখানে পর্যটকদের জন্য তৈরি করা হয়েছে মার্স সিমুলেশন সারভাইভাল এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার।

এই কেন্দ্রে আছে নিয়ন্ত্রণ কেবিন, জৈবিক কেবিন এবং মেডিক্যাল কেবিনসহ মোট ৯টি মডিউল। মডিউলগুলো মঙ্গল গ্রহে মহাকাশচারীদের জীবনযাপন এবং গবেষণার আবহে বানানো হয়েছে। একটি কেবিনে থেকে আরেকটিতে যেতে দর্শনার্থীদের পাড়ি দিতে হবে এয়ারলক। আবার প্রধান কন্ট্রোল কেবিনের মধ্য দিয়ে হেঁটে তারা দেখতে পাবে কী করে ভিনগ্রহে সবজি জন্মায়।

মহাকাশচারীদের উচ্চ গতির ও ঘূর্ণনের প্রশিক্ষণটা কেমন হয় সেটি সম্পর্কে ধারণা মিলবে এখানে।

এক দর্শনার্থী জানালেন, ‘এখানকার সেন্ট্রিফিউগাল ট্রেনিং সিমুলেশনটি বেশ কঠিন। এখন আমি কিছুটা বুঝতে পারছি মহাকাশচারীদের কতটা কঠিন প্রশিক্ষণের ভেতর যেতে হয়।’

শিশুদের জন্য এখানে আছে আলাদা বিজ্ঞান ক্যাম্প। এখানে তারা পরিবেশগত জরিপ, মঙ্গল গ্রহের চাষ পদ্ধতি এবং রকেট ডিজাইনের ধারণা পাবে হাতে-কলমে।

ইনার মঙ্গোলিয়ার উলানকাবে আছে উলানহাদা আগ্নেয়গিরি। এখানকার নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি রয়েছে স্পেসসুট পরে ছবি তোলার ব্যবস্থা।

পোশাক ভাড়া প্রদানকারী একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক থু মুসে জানালেন, ‘এখানে মহাকাশচারীর পোশাকের জন্য ভাড়া হলো ঘণ্টায় ৮০ ইউয়ান। দিনে আমার আয় হয় প্রায় আট হাজার ইউয়ান।’

স্পেস-থিমযুক্ত পর্যটন শুধু স্পেসস্যুট ভাড়ার বাজারটাকে বাড়ায়নি, বরং স্থানীয় হোটেলের বুকিং ও খাবারের বেচাকেনাও বাড়িয়েছে।

স্থানীয় গেস্ট হাউজের ব্যবস্থাপক ইয়িন ফেংচিয়ানের মতে, ‘প্রতিদিন প্রায় ৩০০ পর্যটকের জায়গা দিতে পারি। দিনে আয় হচ্ছে প্রায় ২৮ হাজার ইউয়ান।’

এক তথ্যে দেখা গেছে, চীনের এ ধরনের মহাকাশ থিমের পর্যটন স্পটগুলোর জন্য বছরে টিকিট বিক্রি প্রায় ৬০ শতাংশ হারে বাড়ছে এবং রকেট উৎক্ষেপণ দেখার জন্য পর্যটন ব্যয় বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ।

 

সূত্র: সিসিটিভি



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: