সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ায় যেভাবে কোরবানি হয়

মুনা নিউজডেস্ক | ১৭ জুন ২০২৪ ০০:০৯

ছবি: সংগৃহীত ছবি: সংগৃহীত


পবিত্র ঈদুল আজহা মুসলিমদের প্রধান দুই ধর্মীয় উৎসবের অন্যতম। এটাকে ত্যাগের উৎসবও বলা হয়। বাংলাদেশের মতোই বিশ্বের অনেক দেশেই ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় এ উৎসব পালন করা হয়। আবার অনেক দেশেই উৎসবটি ততটা উৎসাহের সঙ্গে পালন করা হয় না। তেমনই একটি দেশ ইন্দোনেশিয়া।


জনসংখ্যার ভিত্তিতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়া। ধর্ম ভীরু হলেও এদের মধ্যে ধর্মীয় গোঁড়ামি কম। পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতর উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে পালন করা হলেও কোরবানিতে তাদের উৎসবের আমেজ কিছুটা কমই দেখা যায়।


বাংলাদেশে ঈদ বলতে আমরা যা বুঝি, ইন্দোনেশিয়ায় সেটির একশ ভাগের এক ভাগও নেই। ঈদ নিয়ে আমাদের যে উচ্ছ্বাস, আবেগ; তার দেখা মেলে না এখানে। লোকজন ব্যস্ত যে যার প্রাত্যহিক কাজে।


পশু কোরবানিও বাংলাদেশের মতো নয়। বাংলাদেশে বাড়ি বাড়ি কোরবানির ধুম পড়ে। মাংস পেতে গরিব মানুষদের ছোটাছুটি, জটলা। কিন্তু এ দেশে সেই দৃশ্য দেখা যায়। এখানে গরু কিনে পাঠিয়ে দিতে হবে মসজিদে। মসজিদ কর্তৃপক্ষ একটা নিয়মের মাধ্যমে জবাইয়ের কাজটা শেষ করে।

জবাই করার পর মাংস ভাগ হয় গরুর মালিক ও গরিব মানুষদের মধ্যে। মালিক অনেক সময় আসেনও না গরু জবাই দেখতে। গরু কিনে পাঠিয়ে দিয়েই তার কাছ শেষ। মসজিদ কর্তৃপক্ষ যা করার করবে। এতেই শেষ কোরবানি।

এছাড়া ইন্দোনেশিয়ায় সাধারণত যারা হজ পালন করেন বেশিরভাগ সময় শুধুমাত্র তারাই পশু কোরবানি করে থাকেন। দেশটির অধিকাংশ মুসলিম মনে করে থাকেন, যারা হজ করেছেন কেবল তাদের ওপরই কোরবানি ফরজ। গরু বা ছাগল কিনে হাজীরা এলাকার মসজিদে দিয়ে দেন।

বাংলাদেশে ঈদের ছুটি তিন দিন। তবে ইন্দোনেশিয়ায় ছুটি শুধু ঈদের দিনটাতেই। আবার ঈদের দিনেও সরকারি অফিস ছাড়া প্রায় সবই খোলা। সাপ্তাহিক ছুটি শনি ও সোমবার। এই দিনগুলোতেও শহর থাকে ব্যস্ত। কোনো কিছু নিয়ে উচ্ছ্বাস, আনন্দ প্রকাশে বাড়াবাড়ি নেই এখানকার মানুষদের। তবে আছে আতিথেয়তা, আন্তরিকতা।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: