পৃথিবীর তিন ভাগের দুই ভাগজুড়ে রয়েছে পানির অস্তিত্ব। পানি ছাড়া পৃথিবীতে কোনো প্রাণীর পক্ষে টিকে থাকা সম্ভব না। একজন মানুষ পানি ছাড়া গড়ে মাত্র তিন দিন বেঁচে থাকতে পারে। শরীর সুস্থ রাখতে ও বেঁচে থাকতে পানির বিকল্প নেই। কিন্তু জানলে অবাক হবেন এমন পানিও আছে যার এক বোতলের দাম লাখ লাখ টাকা।
বিশ্বের সবচেয়ে দামি পানির নাম হচ্ছে ‘অ্যাকোয়া দ্য ক্রিন্তালো ট্রিবুতো আ মোদিগিলানি’। ২০১০ সালে বিশ্বের সবচেয়ে দামি পানির খেতাব পেয়েছিল এটি।
ওই বছর এক নিলামে ৬০ হাজার ডলার বা ৭০ লাখ ৩২ হাজার টাকায় এক বোতল পানি বিক্রি হয়। মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটিতে ওই নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।
৭৫০ মিলিলিটার পানির বোতল ২৪ ক্যারাটের স্বর্ণ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। তাই বোঝাই যাচ্ছে, সাধারণ মানুষের সাধ্যের বাইরে এই পানি।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এই পানিতে ২৪ ক্যারেটের ৫ গ্রাম স্বর্ণের ধূলা মেশানো থাকে। এতে নাকি পানিতে ক্ষারের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
ফ্রান্সের একটি ঝরনা, ফিজি দ্বীপের একটি প্রস্রবণ এবং আইসল্যান্ডের হিমবাহ—পৃথিবীর এই তিনটি অংশ থেকে পানি ভরা হয় বোতলে। প্রায় দেড় দশক আগে এক বোতল পানি নিলামে ৬০ হাজার ডলারে বিক্রি হয়েছিল। এই পানির বোতলটির নকশা করেছেন ফার্নান্দো আলতামিরানো নামে একজন শিল্পী।
বেশি দামের পানি যে এর আগে ছিল না এমন নয়। ‘ফিলিকো’ নামে এক বোতল পানির দাম ২০০ থেকে ২৪০ ডলার বা প্রায় ২৮ হাজার টাকা। কারুকার্যের জন্য বিশ্বে এই বোতলের জনপ্রিয়তাও রয়েছে। জাপানের কোবেতে নুনোবিকি নামের ঝরনা থেকে এই পানি সংগ্রহ করা হয়।
এ ছাড়া বিশ্বের আরও কয়েকটি কোম্পানি দামি পানি বিক্রি করে থাকে। তবে এখনো পর্যন্ত দামের দিক থেকে ‘অ্যাকোয়া দ্য ক্রিন্তালো ট্রিবুতো আ মোদিগিলানি’-কে কেউ টেক্কা দিতে পারেনি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: