অ্যান্টার্কটিকায় তেলের একটি বিশাল ভাণ্ডার খুঁজে পেয়েছে রাশিয়া। যুক্তরাজ্যের হাউজ অব কমন্সের এনভায়রনমেন্ট অডিট কমিটির এক নথিতে এই দাবি করা হয়েছে। এখানে প্রায় ৫১১ বিলিয়ন ব্যারেলের সমপরিমাণ তেল রয়েছে। যা গত ৫০ বছরে নর্থ সীতে উৎপাদিত তেলের দশগুণ। সাময়িকী নিউজউইক এ খবর জানিয়েছে।
গত সপ্তাহে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এই নথিটি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ওয়েডেল সীতে রাশিয়ার গবেষণা জাহাজ এই তেলের সন্ধান পেয়েছে। সাগরের অংশটি অ্যান্টার্কটিকায় ব্রিটেনের দাবিকৃত অঞ্চলে পড়েছে। একই অঞ্চলের দাবিদার চিলি ও আর্জেন্টিনার।
ভূখণ্ডগত অধিকার না থাকলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অ্যান্টার্কটিকায় যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সঙ্গে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক অভিযানের নামে ধীরে ধীরে উপস্থিতি বাড়াচ্ছে রাশিয়া। ১৯৫৭ সাল থেকে পাঁচটি গবেষণাকেন্দ্র স্থাপন করেছে দেশটি। কিন্তু এখন উদ্বেগ বাড়ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে বৈজ্ঞানিক গবেষণার আড়ালে রাশিয়া অঞ্চলটিতে প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে।
অ্যান্টার্কটিকা পরিচালিত হয়েছে ১৯৫৯ সালের ১ ডিসেম্বরে স্বাক্ষরিত অ্যান্টার্কটিকা চুক্তির মাধ্যমে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে কোনও একক দেশ অঞ্চলটির মালিক নয়। অঞ্চলটি শান্তি ও বিজ্ঞানের জন্য উৎসর্গ করা হয়েছে। এর অর্থ হলো সেখানে তেলের অনুসন্ধান বা উৎপাদন নিষিদ্ধ।
কিন্তু বিশেষজ্ঞরা এখন দাবি করছেন, রাশিয়া হয়ত তেল ও গ্যাসের জন্য অ্যান্টার্কটিকায় উপস্থিতি বাড়াচ্ছে। এছাড়া অ্যান্টার্কটিকা চুক্তি লঙ্ঘন করে মহাদেশটিতে জরিপ পরিচালনা করছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: