ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলে একটি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে। ১৩ মে, সোমবার এই অগ্ন্যুৎপাতে আকাশে পাঁচ কিলোমিটারেরও বেশি (তিন মাইল) জায়গাজুড়ে বিশাল ছাই ছড়িয়ে পড়ে। কর্তৃপক্ষ গত সপ্তাহে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছিল।
আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে উত্তর মালুকু প্রদেশের হালমাহেরা দ্বীপে আকাশে ছাই ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি আগ্নেয়গিরির চূড়া থেকে পাঁচ কিলোমিটারেরও বেশি ওপরে পৌঁছেছে। এটা সাম্প্রতিক মাসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় অগ্ন্যুৎপাতগুলোর একটি। সোমবার এক বিবৃতিতে ভূতত্ত্ব সংস্থার প্রধান মুহাম্মদ ওয়াফিদ বলেন, ধূসর-কালো ছাইয়ের স্তম্ভটি ‘ঘন তীব্রতায়, পশ্চিম দিকে ঝুঁকে পড়েছে।’
ওয়াফিদ আগ্নেয়গিরির ছাই থেকে রক্ষা পেতে আশেপাশের বাসিন্দাদের বাইরে যাওয়ার সময় মাস্ক এবং চশমা পরার আহ্বান জানিয়েছেন। গত শনিবার আগ্নেয়গিরিটি থেকে ছোট পরিসরে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছিল। আগ্নেয়গিরির গর্তের চারপাশে তিন থেকে পাঁচ কিলোমিটার (দুই থেকে তিন মাইল) এর মধ্যে যাওয়া নিষিদ্ধ করে দ্বিতীয়-সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।
ইবু ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। গত বছর ২১ হাজারের বেশি বার অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল।
জিওলজি এজেন্সির কর্মকর্তা সোফিয়ান প্রিমুলিয়ানা বলেন, ২০২৩ সালে প্রতিদিন গড়ে ৫৮ বার অগ্ন্যুৎপাত করে রেকর্ড করেছে ইবু। ইন্দোনেশিয়া একটি বিশাল দ্বীপপুঞ্জে ঘেরা দেশ। প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অফ ফায়ার’-এ অবস্থানের কারণে ঘন ঘন ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপের সম্মুখীন হয় দেশটি।
সূত্র: আল-অ্যারাবিয়া
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: