১৯৬৭ সালের সীমান্তের ভিত্তিতে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে হামাস তার সামরিক শাখা ভেঙে দিতে ইচ্ছুক বলে জানিয়েছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান। ১৭ এপ্রিল, বুধবার কাতারের রাজধানী দোহায় হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়ার সঙ্গে বৈঠকের পর এই কথা বলেছেন তিনি।
তুরস্কের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিদান এবং হানিয়া তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেছেন। তারা গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা প্রদান, যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবং জিম্মিদের ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা করেছেন।
ফিদান বলেছেন, 'কিছু পশ্চিমা দেশ দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের ভিত্তিতে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টাকে ইতিবাচকভাবে দেখছে। কিন্তু তারা হামাস সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।'
তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি হামাস নেতাদের সঙ্গে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের বিষয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বুধবার ফিদান দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘হামাসের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘ রাজনৈতিক আলোচনায়, তারা ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টি মেনে নিয়েছে। তারা আমাকে বলেছে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর, হামাসের সশস্ত্র শাখার আর প্রয়োজন হবে না এবং তারা একটি রাজনৈতিক দল হিসাবে কাজ করবে।'
হামাসকে ইসরায়েলের সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করার বিষয়টির নিন্দা জানিয়েছেন ফিদান। তিনি হামাসের কর্মকাণ্ডকে ফিলিস্তিনের জাতীয় প্রতিরোধ আন্দোলন হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ফিদান বলেছেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত ইসরায়েলি প্রচারণায় হামাসকে একটি জাতীয় প্রতিরোধ আন্দোলন হিসেবে নয় বরং একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে বর্ণনা করার চেষ্টা করা হয়। এর মাধ্যমে তারা পশ্চিমা বিশ্ব এবং আন্তর্জাতিক জনমত নিজেদের পক্ষে আনার চেষ্টা করে।'
তিনি আরও বলেছেন, 'ইসরায়েলি বাহিনী ইসমাইল হানিয়ার তিন ছেলে এবং পাঁচ নাতি-নাতনিকে হত্যা করেছে। আমি মর্মান্তিক এই হত্যাকাণ্ডের জন্য হানিয়ার প্রতি আমার সমবেদনা জানিয়েছি। এছাড়া প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের শুভেচ্ছাও পৌঁছে দিয়েছি।'
উল্লেখ্য, এরদোয়ান ২০ এপ্রিল ইস্তাম্বুলে ইসমাইল হানিয়ার সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানা গেছে।
সূত্র: দ্য নিউ আরব
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: