যুদ্ধও পবিত্র কোরআন থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি তাদের

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:০৪

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

ইসরায়েলের হামলায় বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন গাজা উপত্যকার প্রায় সব বাসিন্দা। তাদের বেশিরভাগ আশ্রয় নিয়েছেন রাফাহ শহরে। বর্তমানে সেখানে প্রায় ১৩ লাখ মানুষ রয়েছেন। এ ছাড়া অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন অনেকে। ৬ এপ্রিল, শনিবার তুরস্কের বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সি গাজার দেইর এল-বালাহর সাধারণ মানুষের কয়েকটি ছবি প্রকাশ। যেগুলোতে দেখা যাচ্ছে, পবিত্র রমজান মাসের শেষ দিনগুলোতে কোরআন পড়ে সময় কাটাচ্ছেন বাস্তুচ্যুত মানুষ।

একটি ছবিতে দেখা যায় তাঁবুর পাশে বসে কোরআন পড়ছেন এক তরুণী। আরেকটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে এক বৃদ্ধা কোরআনে হাত বুলিয়ে সেটি পড়ছেন। অপর একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, পলিথিনের তৈরি তাঁবুর পাশে এক শিশুকে কোলে নিয়ে কোরআন পড়ছে এক কিশোরী।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতিতে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এরপর ওইদিন থেকেই গাজায় বর্বর হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েলি সেনারা। তাদের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আর ৮০ হাজারের বেশি মানুষ। ইসরায়েলি হামলায় বাড়িঘর ধসে পড়ায় বেশিরভাগ মানুষ এখন অস্থায়ী তাঁবুতে মানবেতর জীবনযাপন

পবিত্র রমজান মাস শেষ প্রান্তে চলে আসার পর ঈদকে বরণ করে বিশ্বের সব মুসল্লি প্রস্তুতি নেন। তবে গাজার সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ নেই। কারণ ছোট্ট এ উপত্যকার বেশিরভাগ মানুষ অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন।

এদিকে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলেছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধ করার লক্ষ্যে একটি সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

লেবাননে নিযুক্ত হামাসের ওই প্রতিনিধি বলেন, নেতানিয়াহু একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছাতে বাধা সৃষ্টি করে যাচ্ছেন এবং তিনি গাজায় আটক ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্ত করতে মোটেও আগ্রহী নন।

যুদ্ধবিরতির আলোচনায় ইসরায়েল সময়ক্ষেপণের যে অপকৌশল নিয়েছে তার স্বরূপ উন্মোচন করেন ফিলিস্তিনি ওই নেতা। তিনি বলেন, ইসরায়েলে হামাসের দাবি প্রত্যাখ্যান করে নিজের অবস্থানে অটল রয়েছে। যুদ্ধ সম্পূর্ণ বন্ধ করা, গাজা থেকে সকল সেনা প্রত্যাহার, বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদেরকে তাদের ঘরবাড়িতে ফিরতে দেয়া এবং বন্দবিনিময় করার যে দাবি হামাস তুলে ধরেছে তা ফিলিস্তিনিদের অন্তরের দাবি। কিন্তু তেল আবিব তা মেনে নিতে রাজি হচ্ছে না।

হামাসের এই কর্মকর্তা বলেন, ইসরায়েল অভিযান চালিয়ে যা অর্জন করতে পারেনি তা যুদ্ধবিরতির আলোচনা দীর্ঘায়িত করে অর্জন করতে চায়। কিন্তু তেল আবিবকে তা অর্জন করতে দেবে না ফিলিস্তিনিরা।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: