ফিলিস্তিনের গাজায় হামলার প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে চলছে ইসরায়েলি পণ্য বয়কট। পবিত্র রমজান মাসে এ তালিকায় যুক্ত হয়েছে ইসরায়েলি খেজুর। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহৎ দুটি মুসলিম দেশ মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়ায় বেশ জোরেশোরেই চলছে এই খেজুর বয়কট কার্যক্রম। খবর সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
খবরে বলা হয়, গাজায় হামলা শুরু হওয়ার পর দেশদুটিতে ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের আহ্বান জানায় ফিলিস্তিনকে সমর্থনকারী বিভিন্ন গোষ্ঠী। এতে বেশ সাড়া মেলে। ফলে সেখানে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন সব কোম্পানির বেচা-বিক্রি অনেকখানি কমে গেছে। কোম্পানিগুলো নানাভাবে চেষ্টা চালিয়েও তাদের ব্যবসা চাঙ্গা করার কোনো সুযোগ পাচ্ছে না। কোথাও কোথাও বয়কট আহ্বানকারী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে মামলাও করেছে এসব কোম্পানি। কিন্তু তাতে তাদের ব্যবসা আরও মন্দার দিকে যাচ্ছে।
খবরে আরও বলা হয়, সম্প্রতি মালয়েশিয়ার কাস্টমস স্থানীয় বাজারে ইসরায়েলি খেজুর বিক্রির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। সেলাঙ্গরের ক্লাং পোর্টে একটি গুদামে অভিযান চালিয়ে তাকে আটকের পর মালয়েশিয়ার একজন মন্ত্রী বলেন, যারা ইসরায়েলি পণ্য বেচাকেনা করেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে যারা ভোক্তাদের বিভ্রান্ত করে ইসরায়েলি পণ্য বিক্রি করে, তাদেরও কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
অপরদিকে ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষ ব্যবসায়ীদেরকে ইসরায়েলি পণ্য বিশেষ করে ইসরায়েলি খেজুর আমদানি ও বিক্রি বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে। দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংস্থা ইন্দোনেশিয়ান কাউন্সিল অব ওলেমা (এমইউআই) এবং বৃহত্তম মুসলিম গণ সংগঠন নাহদাতুল উলেমা ইসরায়েল থেকে খেজুর আমদানি করার বিরুদ্ধে পৃথক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
এমইউআই প্রধান সুদারনোটো বলেছেন, আমরা ইন্দোনেশিয়ান মুসলিমসহ অন্যান্য ধর্ম সম্প্রদায় মানবতার পাশে থাকতে রমজানে ইসরায়েলি খেজুর কেনা থেকে বিরত রয়েছি। পাশাপাশি ইসরায়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্পোরেশনগুলোর পণ্য বর্জনও একইসঙ্গে চালিয়ে যাব আমরা।
অন্যদিকে নাহদাতুল উলেমার চেয়ারম্যান আহমেদ ফাহরুর রোজি ইসরায়েলি খেজুরকে হারাম বা নিষিদ্ধ ঘোষণা করার বিষয়ে এমইউআইয়ের ফতোয়াকে সমর্থন করে বলেন, ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি দেখাতে এটাই সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ উপায়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: