ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখণ্ড গাজায় প্রথম রোজায় খাবারের অভাবে ইফতার করতে পারেননি প্রায় ২ হাজার চিকিৎসাকর্মী। তাঁরা উত্তর গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মরত। ১২ মার্চ মঙ্গলবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় গতকাল সোমবার ছিল রোজার প্রথম দিন। যুদ্ধবিধ্বস্ত এই অঞ্চলটিতে যুদ্ধের দামামার মধ্যেই রোজা রেখেছেন লাখো মানুষ। তাদেরই একটি অংশ ছিলেন সেই ২ হাজার চিকিৎসাকর্মী। কিন্তু কর্মক্লান্ত শরীরে দিনের শেষে ইফতারের সময় কোনো খাবারই জোটেনি তাদের।
প্রায় ২ হাজার চিকিৎসাকর্মীর এক প্রকার অনাহারে থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে আশরাফ আল-কুদরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘গাজা উপত্যকার উত্তরাংশের চিকিৎসাকর্মীরা দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে।’ এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক ত্রাণ সহায়তা দেওয়া সংগঠনগুলোকে অতি দ্রুত গাজার চিকিৎসাকর্মীদের জন্য ত্রাণ নিশ্চিতের আহ্বান জানান।
এদিকে, গাজায় গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় ৩১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যাদের ৭০ শতাংশেরও বেশি শিশু ও নারী। এ ছাড়া একই সময়ে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৭২ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। নিখোঁজ আছে আরও কয়েক হাজার।
এদিকে, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় যে ‘নৃশংস অপরাধ’ চালাচ্ছে ইসরায়েল তা বন্ধ ও ‘নিরাপদ মানবিক করিডরের ব্যবস্থা’ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ। গত রোববার এক লিখিত বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য বেদনাদায়ক যে ফিলিস্তিনে আমাদের ভাইয়েরা যখন হামলার শিকার হচ্ছেন, তখন এ বছর রমজান মাস এসেছে।’
তার আগে, রমজান মাস শুরু ঠিক আগে গাজাবাসীর সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে একটি বার্তা পাঠান জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। বার্তায় তিনি বলেন, ‘গাজায় যাঁরা ভয়াবহ দুর্দশার মধ্যে রয়েছেন, তাঁদের সবার প্রতি সংহতি ও সমর্থন জানাচ্ছি আমি। এ কঠিন সময়ে রমজান আমাদের আশার আলো দেখাবে।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: