ভারতে মুসলিমবিদ্বেষী বক্তব্য ব্যাপক হারে বেড়েছে : গবেষণা

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:১৯

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

ভারতে মুসলিমবিরোধী বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ব্যাপক হারে বেড়েছে। সম্প্রতি বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড নিয়ে কাজ করা ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়া হেট ল্যাবের গবেষণা থেকে দেখা গেছে, ২০২৩ সালের শেষার্ধ্বে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য বছরের প্রথম ৬ মাসের তুলনায় ব্যাপক বেড়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্ডিয়া হেট ল্যাব স্থানীয় সময় আজ সোমবার জানিয়েছে—তারা ২০২৩ সালে মোট ৬৬৮টি মুসলিমবিরোধী বিদ্বেষমূলক বক্তব্য নথিবদ্ধ করেছে। ভারতে মুসলিমবিদ্বেষী বক্তব্য বাড়ার একটি বড় কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, গত চার মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধকে।

ইন্ডিয়া হেট ল্যাবের গবেষণায় বলা হয়েছে, ৬৬৮টি মুসলিমবিরোধী বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের মধ্যে বছরের প্রথম ৬ মাসে দেওয়া হয়েছে ২৫৫টি। বাকি সবগুলোই অর্থাৎ, ৪১৩টি বক্তব্য দেওয়া হয়েছে বছরের শেষার্ধ্বে। শতকরা বিবেচনায় এই বিদ্বেষমূলক বক্তব্য বৃদ্ধি পেয়েছে ৬২ শতাংশ।

এই মুসলিমবিরোধী বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের ৭৫ শতাংশ অর্থাৎ ৪৯৮টি বক্তব্য দেওয়া হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল ভারতীয় জনতা পার্টিশাসিত (বিজেপি) রাজ্যগুলোতে। রাজ্য বিবেচনায় মুসলিমবিদ্বেষী সবচেয়ে বেশি বক্তব্য দেওয়া হয়েছে মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলোতে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে আক্রমণের পর থেকে গত বছরের শেষ দিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধকে নির্দেশ করে মুসলিমবিদ্বেষী বক্তব্য দেওয়া হয়েছে অন্তত ৪১টি। ২০২৩ সালের শেষ ৩ মাসে যতগুলো মুসলিমবিদ্বেষী বক্তব্য দেওয়া হয়েছে তার ২০ শতাংশই এই যুদ্ধকে কেন্দ্র করে দেওয়া।

ইন্ডিয়া হেট ল্যাব জানিয়েছে, তারা জাতিসংঘ প্রবর্তিত সংজ্ঞা অনুসরণ করেই ‘বিদ্বেষমূলক’ বক্তব্যকে সংজ্ঞায়িত করেছে। জাতিসংঘ নির্ধারিত সংজ্ঞা অনুসারে, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, জাতীয়তা বা লিঙ্গসহ অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর প্রতি পক্ষপাতমূলক বা বৈষম্যমূলক ভাষা প্রয়োগ করাই বিদ্বেষমূলক বক্তব্য বলে বিবেচিত হবে।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: