ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিন যখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ঠিক তখনই এ উপত্যকায় একেবারে মৌলিক পদ্ধতিতে ছোট পরিসরে আলো ছড়াচ্ছে ‘গাজার নিউটন’। প্রকৃত নাম নিউটন না হলেও উদ্ভাবনীর জন্য গাজার নিউটন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে গাজার এই শিশু। মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গাজার নিউটন হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ওই শিশুর আসল নাম হুসাম আল আত্তার। একদম প্রাথমিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে সে বাতাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করেছে। এর ফলেই এখন এ নামে পরিচিতিও পেয়েছে।
আল আত্তার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা শুরুর আগে উত্তর গাজার জাবেল মুকাবের স্কুলের শিক্ষার্থী ছিল। কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার কারণে আত্তার পরিবারের সঙ্গে সেও গৃহহীন হয়ে পড়ে এবং প্রথমে বেইত লাহিয়া ও পরে খান ইয়ানিসে হেঁটে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয়। বর্তমানে সে মিসরের রাফাহ সীমান্তে বসবাস করছে।
কুদস প্রেসকে আত্তার বলে, আমি আমার দুই ভাতিজার দেখাশোনা করতাম। তাদের চোখে ভয়ের ছাপ দেখতে পেলাম। অন্ধকার তাঁবুর ঘরে তারা একাকী বোধ করত। ফলে আমি তাদের আনন্দ দেওয়ার বিষয়টি ভাবতে লাগলাম এবং এখানে আলোর উদ্ভাবন করলাম।
গাজার এ নিউটন আলজাজিরাকে জানায়, আমি বাজার থেকে ১ শ্যাকেল (ইসরায়েলি মুদ্রা) দিয়ে একটি পকেট ডায়নামো কিনে আনি। ডায়নামো ঘুরলে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় এ ধারণা থেকে আমি ঘরের চালে এটি স্থাপন করি। এরপর এর সাথে একটি পাখা যুক্ত করে দেই। ফলে বাতাসের সাহায্যে যখন এটি ঘুরে তখন বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।
আত্তার আরও জানায়, আমাদের যদি আরও ব্যাটারি থাকত তাহলে সেগুলো রিচার্জ করে আরও বেশি বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো যেত। তাহলে আমরা অল্প অল্প করে ২৪ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ পেতাম।
গাজার এ শিশুর বক্তব্য, আমাকে এ এলাকার সবাই গাজার নিউটন বলে ডাকে। যুদ্ধবিধ্বস্ত এ এলাকায় কোনো বিদ্যুৎ সুবিধা নেই। ফলে আমি আমার সাধ্যমতো আলো জ্বালানোর চেষ্টা করছি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: