পৃথিবীর আহ্নিক গতির কারণেই দিন এবং রাত হয়। বিজ্ঞানীরা মতে, ভবিষ্যতে পৃথিবীর আহ্নিক গতি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে পারে। তখন ২৪ ঘণ্টার পরিবর্তে ২৫ ঘণ্টায় এক দিন হতে পারে। পৃথিবী নিজ অক্ষের উপর দাঁড়িয়ে পূর্ব থেকে পশ্চিমে ঘুরছে। এই ঘূর্ণনকে আহ্নিক গতি বলে। এই ঘূর্ণনের কারণেই হয় দিন ও রাত।
পৃথিবীর আহ্নিক গতির হার অত্যন্ত ধীর। প্রতি শতাব্দীতে মাত্র ০.০০২ সেকেন্ড বৃদ্ধি পায় এই গতি। কিন্তু এই ধীর গতিতেও দিনের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, চাঁদের মহাকর্ষীয় বলের কারণে পৃথিবীর আহ্নিক গতি ধীরে ধীরে ধীর হয়ে আসছে। কিন্তু অন্যদিকে, চাঁদ পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। চাঁদের দূরত্ব বৃদ্ধির ফলে পৃথিবীর আহ্নিক গতির হার আবারও ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন, ২০ কোটি বছর পর পৃথিবীর আহ্নিক গতির হার এমন বৃদ্ধি পাবে যে, ২৪ ঘণ্টার পরিবর্তে ২৫ ঘণ্টায় এক দিন হবে।
জার্মানির মিউনিখের টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী উলরিখ স্ক্রিবার বলেন, ‘পৃথিবীর আহ্নিক গতির গতি ধীরে ধীরে বাড়ছে। এই গতি হ্রাসের হার ধীরে ধীরে বাড়ছে। এই হারে চলতে থাকলে, ২০ কোটি বছর পর পৃথিবীর আহ্নিক গতির গতি প্রতি শতাব্দিতে প্রায় ০.০০৩৫ সেকেন্ড কমে যাবে। ফলে দিনের দৈর্ঘ্য বেড়ে ২৫ ঘণ্টায় হবে।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: