কোনোভাবেই কার্বন নিঃসরণ কমানো যাচ্ছে না। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে এবার নতুন এক প্রতিশ্রুতি দিল বিশ্বের ২২ দেশ। তারা বললেন, আগামী দশকগুলোতে কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনতে পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে আরও বেশি ঝুঁকতে হবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গত বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ–২৮। সম্মেলনের তৃতীয় দিন আমেরিকাসহ বিশ্বের ২২ দেশ কার্বন নিঃসরণ কমানোর প্রতিশ্রুতি দেন। তারা বলেন, ২০৫০ সালের মধ্যে পারমাণবিক বিদ্যুতের কার্যক্রম বর্তমানের চেয়ে তিনগুণ করা হবে।
আমেরিকায় ১৮ শতাংশ পারমাণবিক বিদ্যুৎ সরবরাহকারীরা একে নিরাপদ, পরিবেশবান্ধব এবং বায়ু ও সৌরশক্তির নির্ভরযোগ্য পরিপূরক বলে জানান। তবে এর জন্য তহবিল গঠন ও অর্থায়ন নিয়ে জটিলতা রয়েই গেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া প্রতিশ্রুতি দেওয়া দেশগুলোর তালিকায় রয়েছে বুলগেরিয়া, কানাডা, চেক রিপাবলিক, ফ্রান্স, ঘানা, হাঙ্গেরি, জাপান, মলদোভা, মঙ্গোলিয়া, মরক্কো, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, সুইডেন, ইউক্রেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ুবিষয়ক উপদেষ্টা জন কেরি বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগের জন্য হাজার হাজার কোটি ডলার পাওয়া যাবে। বিজ্ঞান বলছে, এভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন না করতে পারলে কার্বনের নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে না। আগামী ২০৫০ সালেই যা সম্ভব।
প্রতিবারের মতো কপ-২৮ সম্মেলনেও আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে কার্বন নিঃসরণ কমানো। সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানসহ ৭০ হাজারের বেশি প্রতিনিধি।
এবারের সম্মেলনে বিশ্বের ১৯৮ দেশ ও অঞ্চলের ৭০ হাজারের বেশি প্রতিনিধি, বিশেষজ্ঞ, সাংবাদিক ও অধিকারকর্মী যোগ দিয়েছেন। ১৯৯২ সালে শুরু হওয়ার পর কপের আর কোনো সম্মেলনে এত বেশি মানুষ অংশ নেয়নি। সম্মেলন আগামী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: