মিথ্যা শপথকারী ব্যবসায়ীদের জন্য মহানবীর কঠোর হুঁশিয়ারি

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৫ নভেম্বর ২০২৩ ১২:৪৩

ছবিঃ সংগৃহীত ছবিঃ সংগৃহীত



ক্রয়-বিক্রয়ে মিথ্যা কসম অত্যন্ত ঘৃণিত কাজ। মিথ্যা বলে কেনাবেচা করা হারাম। তাই মিথ্যা কসম পরিহার করা উচিত। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, কসম খেলে সম্পদের কাটতি বাড়ে, কিন্তু বরকত কমে যায়।


(আবু দাউদ, হাদিস : ৩৩০২)
রাসুলুল্লাহ (সা.) আরো বলেছেন, ব্যবসায় বেশি কসম খাওয়া থেকে বিরত থাক। এর দ্বারা পণ্য বিক্রি বেশি হয়, কিন্তু বরকত কমে যায়। (মুসলিম, হাদিস : ৪০১৮)

মিথ্যা কসমকারী ব্যবসায়ীর প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি প্রদান করে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তিন শ্রেণির মানুষের সঙ্গে আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন কথা বলবেন না, তাদের প্রতি দৃষ্টি দেবেন না এবং তাদের পবিত্রও করবেন না। আর তাদের জন্য আছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।


আবু জার (রা.) বলেন, হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! কারা ধ্বংসপ্রাপ্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত? তিনি বলেন, টাখনুর নিচে কাপড় পরিধানকারী, উপকার করে খোঁটা প্রদানকারী এবং ওই ব্যবসায়ী যে মিথ্যা কসম করে তার পণ্য বিক্রি করে। (তিরমিজি, হাদিস : ১২১১)
এ জন্য ইসলামী অর্থনীতির বিধান অনুযায়ী, বিক্রীত দ্রব্যের সব অবস্থা (দোষ-ত্রুটি থাকলে তাসহ) ক্রেতাকে খুলে বলতে হবে, অন্যথায় বিক্রি শুদ্ধ হবে না এবং ক্রেতার তা ফেরত দেওয়ার অধিকার থাকবে। দ্রব্যের দোষ না বলে ধোঁকা দিয়ে বিক্রি করা হারাম। বিক্রেতা দ্রব্যের যে গুণ-বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করেছিল পরে তার বিপরীত প্রমাণিত হলে, যেমন—বলেছিল রং পাকা বা অমুক কম্পানির, অথচ তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়, এ ক্ষেত্রে ক্রেতা সেটা ফেরত দেওয়ার অধিকার রাখে।


বিক্রেতা যদি কোনো দ্রব্যের সে পরিমাণ দাম নিয়ে থাকে, যা কোনো স্বচ্ছ-নির্দোষ দ্রব্যের বিনিময়ে নেওয়া হয়ে থাকে, আর পরে তাতে কোনো দোষ প্রকাশ পায় তাহলে ক্রেতার তা ফেরত দেওয়ার অধিকার থাকবে। যদি বিক্রেতার কাছে দোষ প্রকাশ পায় তাহলে ক্রেতার তা ফেরত দেওয়ার অধিকার থাকবে। যদি ক্রেতা দোষ-ত্রুটি বলা সত্ত্বেও কেউ সে দ্রব্য ক্রয় করে ওই দোষ-ত্রুটির কারণে তার ফেরত দেওয়ার অধিকার থাকবে না।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: