৬৩ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি নাগরিক সাদি বারাকা। পেশা কবর খনন করা। ইসরায়েলি হামলায় তাকে সারা বছরই অন্যদের তুলনায় বেশিই কবর খনন করতে হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তিনি দৈনিক যে পরিমাণ মরদেহ দাফন করছেন, তা হয়ত পুরো মাস বা পুরো বছরেও করতে হয়নি। এই চাপ সহ্য করতে পারছেন না তিনি। ফলে এখন আর তিনি ঘুমাতে পারেন না। খবর আনাদোলু।
গত ৩৫ দিনে ইসরায়েলি হামলায় ১১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। সাদি বারাকা বলেন, গাজার জনসংখ্যার প্রকৃতিটাই এমন যে, এখানকার লোকজনের অধিকাংশই নারী ও শিশু। ফলে গত এক মাসে যত মানুষ নিহত হয়েছে, তার মধ্যে নারী ও শিশুর হার ৭০ শতাংশের বেশি।
সাদি বলেন, তিনি এখন একদিনে যা দাফন করছেন, গত পাঁচ বছরেও এত মরদেহ দাফন করতে হয়নি তাকে। গত শনিবার একদিনে তিনি ৬০০ জনকে দাফন করেছেন। সাদি বারাকার ভাষায়, তিনি এটা করতে বাধ্য হচ্ছেন। বাধ্য হচ্ছেন, সবাইকে গণকবর দিতে। কারণ প্রতিদিন এত মরদেহ আলাদা আলাদাভাবে রাখার জায়গা নেই, সরঞ্জাম নেই। এমনকি পানিও নেই। গাজার সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। তাই একেকটি কবরে এখন শতাধিক মরদেহ একসঙ্গে দাফন করা হচ্ছে।
সাদি বারাকা বলেন, এত এত শিশুর মরদেহ দেখার পর এখন আমি আর ঘুমাতে পারি না। আমি ভাবি, এই শিশুদের কী দোষ? কেন তাদের এত নির্মমভাবে হত্যা করা হচ্ছে।
এই বৃদ্ধ ফিলিস্তিনি বলেন, আমরা সাহায্য চাই না, খাদ্য চাই না। আমরা মর্যাদা ও স্বাধীনতার সঙ্গে বাঁচতে চাই। একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র চাই। বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশের নাগরিকের মতো স্বাধীন নাগরিক হতে চাই।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: