মঙ্গলে বরফের স্রোত! নাসার স্যাটেলাইটে ধরা পড়ল বিরল দৃশ্য

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৩ আগস্ট ২০২৩ ০৮:২৯

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি


একসময় মঙ্গলগ্রহে পানি থাকলেও আজ তা পৃথিবীর শুষ্কতম মরুভূমির থেকেও ১০০০ গুণ বেশি শুষ্ক। সেই মঙ্গলেই কি না ‘বরফের স্রোত’! অন্তত নাসার মঙ্গল অরবিটিং স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সামনে এসেছে এমনই তথ্য। এই স্যাটেলাইটে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরা রয়েছে, যা মঙ্গল থেকে ছবি তুলে পাঠাতে সক্ষম হবে। গবেষকরা মনে করেন, যে এই ক্যামেরা এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী ক্যামেরা যা অন্য গ্রহের কাছাকাছি প্রতিস্থাপিত করা সম্ভব হয়েছে।

সম্প্রতি এই স্যাটেলাইট মঙ্গলগ্রহের ১৮৪ মাইল উপর থেকে একটি ছবি তুলেছে। সেখানেই দেখা গিয়েছে 'আইস ফ্লো' বা 'বরফের প্রবাহ'।

এই প্রসঙ্গে মঙ্গল গ্রহ সম্পর্কিত ভূতত্ত্ববিদ এবং HiRISE প্রকল্পের গবেষক মাইক মেলন জানিয়েছেন, "মূলত মেরু অঞ্চলগুলিতেই এই বরফ জমার বিষয়টি সীমাবদ্ধ থাকে।" জানা গিয়েছে, এই বরফ ধীরে ধীরে প্রবাহিত হচ্ছে, যা মূলত তৈরি হয়েছে বিভিন্ন গর্ত এবং ধ্বংসাবশেষের উপরের অংশে।

উল্লেখ্য, বিজ্ঞানীদের একাংশের কথায়, মঙ্গলেও আগে ঋতু পরিবর্তন হত। একসময় বসবাসের যোগ্য ছিল এই লালগ্রহ। নাসার ‘কিউরিওসিটি'-র তোলা কিছু ছবি রীতিমতো মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে গবেষণার। এই ছবিতে কিছু ফাটল ধরা পড়েছিল। গবেষকদের একাংশের বক্তব্য হয়তো এই ফাটলগুলিতে একসময় পানি থাকলেও থাকতে পারে। পরবর্তী সময়ে তা বাষ্প হয়ে উড়ে গেলেও যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আগে এই প্রক্রিয়া প্রায়শই দেখা যেত একসময়, মনে করছেন গবেষকরা।

মঙ্গলে মাটির ফাটল একাধিক বিষয় সামনে আনে বলে মনে করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে গবেষক নিনা লানজা জানান, এই ফাটলগুলির প্রেক্ষিতে বোঝা যায় একসময় মঙ্গলে পানি ছিল। তবে তা আজ থেকে প্রায় ৩০ হাজার কোটি বছর আগের ঘটনা বলেই মনে করছেন গবেষকরা।

উল্লেখ্য, চাঁদে পানি রয়েছে কিনা তা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রথম অ্যাপলো মিশনে বিজ্ঞানীরা মনে করেছিলেন চাঁদে পানি থাকলেও থাকতে পারে। ২০০৯ সালে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা চন্দ্রযান ১-এর সঙ্গে যৌথভাবে অনুসন্ধান চালিয়েছিল নাসা। তারা চাঁদে পানি পেয়েছিল।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: