স্বর্ণ ও হীরা দিয়ে বাঁধানো চায়ের কেটলির দাম ৩২ কোটি

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৮ আগস্ট ২০২৩ ১৯:০৩

‘দ্য ইগোয়িস্ট’ কেটলি : সংগৃহীত ছবি ‘দ্য ইগোয়িস্ট’ কেটলি : সংগৃহীত ছবি


বর্তমান সময়ে চায়ের কাপে চুমুক না দিলে অনেকেরই সকাল শুরু হয় না। আবার বিকেলে আড্ডার আসরে এক কাপ চা না হলে ঠিক যেন জমে না! কেউ কেউ মাটির ভাঁড়ের চায়ে তৃপ্তি পান। আবার, অনেকেই শৌখিন পাত্রে চা পান করেন। সে কারণে বাজারে রকমারি চায়ের পাত্র কম নেই! কিন্তু এমন কোনো চায়ের পাত্রের কথা কখনও শুনেছেন, যার দাম ৩২ কোটি ৮৪ লাখ ১০ হাজার ৯৬০ টাকা।

চায়ের সঙ্গে কেটলির সম্পর্ক নিবিড়। চায়ের আসরে কেটলি না থাকলে যেন তা বেমানান লাগে। তাই বাড়িতে চায়ের আসরে অনেকেই শৌখিন কেটলি ব্যবহার করেন। রেস্তরাঁতেও চায়ের কেটলির সাজসজ্জা নজর কাড়ে। এই কেটলিটি শৌখিন তো বটেই, একই সঙ্গে মূল্যবান। দেখলে চোখ জুড়িয়ে যাবে। কেটলির হাতলটি সাদা রঙের। বাকি চেহারায় জ্বলজ্বল করছে মণি-মুক্তো। সোনা, হীরা দিয়ে কেটলিটিকে মুড়ে ফেলা হয়েছে।

এই বিশেষ ধরনের কেটলিই নতুন নজির গড়ে ফেলেছে। বিশ্বের সবচেয়ে দামি কেটলির শিরোপা অর্জন করে ফেলেছে এটা।

কেটলিটির নাম ‘দ্য ইগোয়িস্ট’। ইংরেজিতে এই শব্দের অর্থ অহঙ্কারী। কেটলিটি সাজিয়েছে ব্রিটেনের এন শেঠিয়া ফাউন্ডেশন। তাদের তৈরি এই কেটলির দাম প্রায় ৩২ কোটি টাকার বেশি।

২০১৬ সালে সবচেয়ে দামি চায়ের পাত্র হিসেবে বিশ্বে নজির গড়েছিল এই কেটলি। দিন কয়েক আগে এই কেটলিটির কাহিনি টুইটারে তুলে ধরেছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস।কেটলিটি তৈরি করেছেন ইটালির বাসিন্দা, পেশায় গয়নার কারিগর ফুলভিয়ো স্কেভিয়া। কিন্তু কী এমন আছে এই কেটলিতে? কেনই বা এত দাম?

কেটলির হাতলটি তৈরি করা হয়েছে হাতির দাঁত দিয়ে। বাকি অংশে ব্যবহার করা হয়েছে সোনা, রূপা ও হীরা। কেটলিতে ব্যবহার করা হয়েছে ১৮ ক্যারাটের স্বর্ণ। এ ছাড়াও ১৬৫৮ হীরা দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে কেটলিটি। ব্যবহার করা হয়েছে থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারের ৩৮৬টি মূল্যবান রত্ন। কেটলির ভিতরের অংশটি পিতলের মতো চকচকে। ঢাকনাটিও সোনা ও হীরা দিয়ে বাঁধানো।

গত ৯ আগস্ট, বুধবার কেটলির ছবি টুইট করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস। তারপর থেকেই আলোচনায় উঠে এসেছে এই কেটলির কথা। ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ এই পোস্টটি দেখেছেন।

এত দামি কেটলির চা খেয়ে দেখবেন নাকি? এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা মুনি নানান মত দিয়েছেন। কেউ লিখেছেন, ‘‘কেটলিটি কিনতে চাই। কিন্তু চায়ের জন্য এটা ব্যবহার করতে পারব না। সাজিয়ে রাখব।’’

আবার কেউ মজা করে লিখেছেন, ‘‘একটা চায়ের পাত্র আমার থেকেও ধনী। আমায় দত্তক নিক এন শেঠিয়া ফাউন্ডেশন।’’

সাধারণের সাধ্যের বাইরে এই কেটলি। তাই অনেকেই বলছেন, মাটির ভাঁড়ের চা আর ২৪ কোটির কেটলির চা— ফারাক কোথায়! দুটোই তো চা। তবে চায়ের এমন শৌখিন পাত্রটি ঘিরে চাপ্রেমীদের উৎসাহ যে কম নয়, তা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের টুইটটি দেখলেই বোঝা যায়।

 

সূত্র : এবিপি



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: