স্কুলে স্মার্টফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা চায় ইউনেস্কো

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৮ জুলাই ২০২৩ ১০:৫০

প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলায় স্কুলে স্মার্টফোন ব্যবহার নিষিদ্ধের আহ্বান জানিয়েছে ইউনেস্কো : সংগৃহীত ছবি প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলায় স্কুলে স্মার্টফোন ব্যবহার নিষিদ্ধের আহ্বান জানিয়েছে ইউনেস্কো : সংগৃহীত ছবি


স্কুলে স্মার্টফোন ব্যবহার শিশুদের শিক্ষাগ্রহণে ব্যাঘাত ঘটায়। এ যুক্তিতে এটার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা চায় ইউনেস্কো। এমনকি এর মাধ্যমে অনেক শিশু সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়। এসব প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলায় স্কুলে স্মার্টফোন ব্যবহার নিষিদ্ধের আহ্বান জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘের এ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা।

সংস্থাটি বলেছে, এমন প্রমাণ রয়েছে যে, মোবাইল ফোনের অত্যধিক ব্যবহার শিক্ষাগ্রহণের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এছাড়া উচ্চমাত্রার স্ক্রিন টাইম শিশুদের মানসিক স্থিতিশীলতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

তারা বলেছে যে স্কুলে স্মার্টফোন ব্যবহার নিষিদ্ধের আহ্বানের মাধ্যমে একটি স্পষ্ট বার্তা দেওয়া যায় যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ সব ধরনের ডিজিটাল প্রযুক্তিই ‘মানবকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির’ অধীন হওয়া উচিত। এগুলো কখনই শিক্ষকের সঙ্গে মুখোমুখি মিথস্ক্রিয়ার বিকল্প হওয়া উচিত নয়।

যুক্তি দিয়ে নীতিনির্ধারকদের সতর্ক করে ইউনেস্কো বলেছে, শিক্ষার ফলাফল ও অর্থনৈতিক দক্ষতার ওপর ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রভাবকে অতিরঞ্জিত করে দেখা হতে পারে। সংস্থাটি আরও বলেছে, নতুন সব সময় ভালো হয় না। সব পরিবর্তনেই অগ্রগতি আসে না। শুধুমাত্র কিছু করা যেতে পারে, তার মানে এই নয় যে এটি করা উচিত।

ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ওদ্রে আজুলে বলেন, ডিজিটাল বিপ্লবের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু সমাজে কীভাবে এটিকে নিয়ন্ত্রিত করা উচিত, শিক্ষার ক্ষেত্রে এটিকে কীভাবে ব্যবহার করা হয় সেদিকেও মনোযোগ দেওয়া উচিত।

তিনি আরও বলেন, স্মার্টফোনের ব্যবহার অবশ্যই ছাত্র ও শিক্ষকদের ভালোর জন্য হতে হবে, তাদের ক্ষতির জন্য নয়। অনলাইন যোগাযোগ ব্যবস্থা মানুষের সঙ্গে মানুষের মিথস্ক্রিয়ার বিকল্প হতে পারে না।

ইউনেস্কোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সব দেশকে অবশ্যই এটা নিশ্চিত করতে হবে যে শিক্ষায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের পেছনে তাদের স্পষ্ট উদ্দেশ্য ও নীতিমালা রয়েছে। এ প্রযুক্তি তাদের জন্য উপকারী, এটি কারও ক্ষতি করছে না।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: