শরীরে বিভিন্ন রোগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লিভারে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। অনেকে অল্প বয়সেই লিভার সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছেন। এর প্রধান কারণ হচ্ছে— অনিয়মিত জীবনযাপন ও খারাপ খাদ্যাভ্যাস। নিজেদেরই অসচেতনার কারণে শরীরে বাসা বাঁধে লিভার আক্রান্তের মতো ব্যাধি।
অনেকেরই ধারণা, কেবল মদ্যপান করলেই নাকি লিভারের ক্ষতি হয়। কিন্তু এই ধারণা ভুল। এর বাইরেও অনেক খাবার আছে, যেগুলো নিয়মিত খেলে ক্ষতি হতে পারে লিভারের। তাই সবার খাবার সর্ম্পকে জ্ঞান রাখা উচিত। যেগুলো ক্ষতিকর খাবার, সেগুলো এড়িয়ে যাওয়া উচিত ।
মাত্রাতিরিক্ত হারে চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে লিভারে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। এক কথায়, অত্যধিক চিনি গ্রহণ লিভারের ক্ষতি করতে পারে। সরাসরি চিনি খাওয়াও ক্ষতিকর। এ ছাড়া চিনিযুক্ত খাবার যেমন— ক্যান্ডি, কেক, পেস্ট্রি, কুকিজ, মিষ্টি এবং কোল্ড ড্রিঙ্কস নিয়মিত খেলে লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মদ্যপান লিভারের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। অত্যধিক মদ্যপানের ফলে প্রদাহ, ফাইব্রোসিস এবং লিভারের কোষগুলোর মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তা ছাড়া মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান লিভার সিরোসিস হওয়ার অন্যতম কারণ। তাই লিভার সুস্থ রাখতে মদ্যপান এড়িয়ে চলা খুবই জরুরি। শুধু তাই নয়, ময়দাও লিভারের ক্ষতি করে? ময়দার তৈরি কোনো খাবারই বেশি খাওয়া ভালো নয়। কারণ ময়দা উচ্চ প্রক্রিয়াজাত।
এতে খনিজ ফাইবার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি কম থাকে। ময়দার রুটি, লুচি, পরোটা, রোল, চাউমিন, পিৎজা, পাস্তা, বিস্কুট, পাউরুটি— এসব যত কম খাবেন, ততই শরীরের জন্য উপকারী। ফাস্ট ফুড আমরা সবাই পছন্দ করি। সামনে পিৎজা, বার্গার, স্যান্ডউইচ, ফ্রায়েড চিকেন, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিপস পেলে লোভ সামলাতে পারি না। কিন্তু এসব খাবার সহজে হজম হয় না। নিয়মিত ফাস্ট ফুড খেলে ফ্যাটি লিভারে ভুগতে পারেন।
রেড মিটও লিভারের ক্ষতি করতে পারে। এটি সহজে হজম হয় না। কারণ রেড মিটে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে এবং এত বেশি পরিমাণ প্রোটিন ভেঙে ফেলা লিভারের জন্য কঠিন। অতিরিক্ত প্রোটিন ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বাড়ায়। তেলেভাজা ও মসলাদার খাবার ভাজাভুজি, তেল-মসলাদার খাবারেও ভরপুর ফ্যাট থাকে। নিয়মিত এ ধরনের খাবার খেলে ফ্যাটি লিভারসহ আরও নানা ধরনের লিভারের রোগ বাসা বাঁধে শরীরে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: