শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এসি ছাড়া এই গরমে চলা কঠিন। তবে এসির শীতল বাতাসে গরমের অস্বস্তি দূর হয় ঠিকই, কিন্তু ত্বকের অনেক সমস্যাও দেখা দেয়। এসিতে যে ত্বকের সমস্যা হতে পারে, আমাদের অনেকেরই এটা অজানা। যে কারণে ত্বকে সমস্যা কেন হচ্ছে, বুঝতে পারি না।
শীতকালে ত্বকে যে ধরনের সমস্যা হয়, ঠিক একই সমস্যা দেখা দেবে, যখন আপনি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকবেন। প্রাকৃতিক বাতাস ও তাপমাত্রা থেকে হঠাৎ কৃত্রিম বাতাসের সংস্পর্শে এলে ত্বকের ভারসাম্য নষ্ট হয়। স্বাভাবিক তাপমাত্রা থেকে হঠাৎ বা দীর্ঘ সময় এয়ার কন্ডিশনের ঠান্ডা বাতাসে থাকলে প্রথমেই ত্বকের আর্দ্রতা ও ময়েশ্চরাইজারে টান পড়ে। বিশেষ করে ত্বকের আবরণের নিচের পানি শুকিয়ে যায়—এমনটাই বলছিলেন বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভের প্রধান রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি। এর কারণ হলো, শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের বাতাস খুবই শুষ্ক হয়। শীতকালে ত্বকে যে ধরনের যত্ন নেওয়া হয়, এসিতে থাকলেও ত্বকের ঠিক একই রকম যত্ন নিতে হবে বলে পরামর্শ দিলেন তিনি।
এসিতে থাকলে যেসব সাধারণ সমস্যা ত্বকে দেখা যায় তা হলো, ত্বকের পানির পরিমাণ কমে চুলকানি হওয়া, লাল হয়ে যাওয়া, ত্বক ফেটে যাওয়া, ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়া, ত্বকে দ্রুত ভাঁজ পড়া। তাই শীতাতপনিয়ন্ত্রিত পরিবেশে যাওয়ার আগে ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার জরুরি। ময়েশ্চারাইজার হিসেবে জলপাই তেল বেশ ভালো। তবে একটু ভারী লোশন ব্যবহারে দ্রুত ভালো ফল পাওয়া যায়। এ ছাড়া একটানা দীর্ঘ সময় এসির বাতাসে না থেকে বিরতি নেওয়া ভালো।
এমন আরও কিছু সমাধান আছে, যা মেনে চললে ত্বকের এসব সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। যা করবেন :
- প্রতিদিন শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করতে দিনে অন্তত আট গ্লাস পানি পান করুন।
- ত্বকে গ্লিসারিন বা গ্লিসারিনযুক্ত পরিষ্কারক ব্যবহার করতে পারেন।
- রাতে ঘুমানোর আগে এসির পাশাপাশি আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণযন্ত্র চালু রাখতে পারেন। এতে ত্বকের ক্ষতি অনেকটাই কম হবে।
- ঠোঁটের ত্বকেও এসির বাতাস ক্ষতিকারক, তাই অবশ্যই পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে হবে। এতে ঠোঁট শুষ্ক হবে না।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: